কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

অন্ধকারের অন্বেষণ

অন্ধকারের অন্বেষণ রহস্য গল্প – আদিপ রায়

অধ্যায় ১: ছায়ার হাতছানি  

শ্রাবণ মাস; ঘন কালো মেঘে ভরা আকাশ। বৃষ্টি পড়ছে একটানা, আকাশটা থমথমে- যেন কিছুর প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে।   

শহরের কোলাহল ছেড়ে অনেক দূরে, বর্ধমান জেলার সীমান্তে বিশাল এলাকা জুড়ে পাঁচিল ঘেরা পুরনো জমিদারবাড়ি— “নন্দন ভিলা”। বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই একটি পুকুর, আম-জাম-পেয়ারার বাগান। সেই বাগানের মাঝে  প্রায় একশ বছরের পুরনো লাল রঙের দোতলা বসতবাড়ি। বাড়ির সেগুন কাঠের সবুজ রঙের দরজা-জানালা এখনো অক্ষত। বাড়ির মাঝে একটি বিশাল উঠোন, আর উপরে-নিচে মিলিয়ে প্রায় খান কুড়ি ঘর, যার বেশিরভাগই তালাবন্ধ হয়ে পড়ে থাকে।

এক সকালে হঠাৎ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তেজেন্দ্র রায়চৌধুরী , বাড়ির প্রবীণ কর্তা, নিজের ঘরে নিথর অবস্থায় পাওয়া গেলেন। পুলিশ এসে দেখে দেহে বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন নেই, ঘরের দরজাও ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এছাড়া দান-ধ্যানের জন্য তেজেন্দ্রবাবু গ্রামে খুব জনপ্রিয় ছিলেন, তার কোন শত্রু ছিল না তাই তারা একে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে করে।

কিন্তু দুজন সেটা মেনে নিতে পারেনি— তাঁর নাতনী, নীলাঞ্জনা। স্নাতকোত্তর পড়া শেষ করে সদ্য লন্ডন থেকে ফিরে আসা মেয়েটি বুঝতে পেরেছিল, কিছু একটা ঠিক নেই। “দাদু হঠাৎ মরে যেতে পারে না,” সে বারবার বলে যাচ্ছিল।

অন্যজন ডাক্তার বিমল বসু। এককালে কলকাতায় ডাক্তারি করতেন। এখন রিটায়ার করার পরে গ্রামে এসে তেজেন্দ্রবাবুর প্রতিবেশী এবং বিশেষ বন্ধু। তিনিও মন থেকে তেজেন্দ্রবাবুর এই হঠাৎ মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেন না।

ঘটনার তিন দিন পরে, কলকাতার এক চায়ের দোকানে, বসে আছেন একজন গম্ভীর চেহারার মানুষ— ঘন সাদা-কালো দাড়ি, উজ্জ্বল বুদ্ধিদীপ্ত চোখে কাল ফ্রেমের চশমা, আর হাতে এক পুরনো চামড়ায় মোড়া ডায়েরি। ইনি হলেন শৌর্য সেন, একজন খ্যাতিমান সখের গোয়েন্দা, যিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে এখন একলাই তদন্ত করেন। হঠাৎ তার ফোন বাজল।

 “শৌর্যদা, আমি নীলাঞ্জনা বলছি। নন্দন ভিলার তেজেন্দ্র রায়চৌধুরী আমার দাদু ছিলেন, হঠাৎ মারা গেছেন। আমার মন বলছে, এটা সাধারণ মৃত্যু নয়, একটা রহস্য আছে। আমি আপনার সাহায্য চাই। আপনি আসবেন?”

শৌর্য মুচকি হাসলেন।
“নন্দন ভিলা… পুরনো জমিদারবাড়ি… বৃষ্টিভেজা আকাশ… রহস্য? আমি আসছি।”

পরদিন ভোরে, শৌর্য পৌঁছালেন নন্দন ভিলায়। ভেজা মাটি, পিচ্ছিল সিঁড়ি, আর গাছের ডাল ভেদ করে ছায়া নামিয়ে থাকা বাড়ির অদ্ভুত নিস্তব্ধতা যেন একটা অজানা কোন ঘটনার আগমনী বার্তা।

এই মূহুর্তে মাথায় টুপি গায়ে রেনকোট পরা শৌর্যকে বিদেশি ডিটেকটিভ বইতে পড়া শার্লক হোমসের মতোই দেখতে লাগছিল। নীলাঞ্জনা এগিয়ে এসে বলল,
“আমার দাদু উইল করেছিলেন, কিন্তু সেই উইলও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মারা যাবার আগের রাতে দাদু কার সঙ্গে যেন উত্তেজিত ভাবে কথা বলছিলেন… আমি শুনেছিলাম। কিন্তু সকালে…”

শৌর্য চুপচাপ চারপাশে তাকালেন। ঘর, গন্ধ, দরজা, দেয়ালের দাগ… কিছু যেন বলতে চাইছে— এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।

অধ্যায় ২: হারিয়ে যাওয়া উইল

শৌর্য প্রথমেই যে ঘরে তেজেন্দ্রবাবু মারা গেছিলেন সেই ঘরটি দেখতে চাইলেন। দোতলার একটি বড়সড় ঘরে একটি বড় খাট এবং কিছু ছিমছাম আসবাবপত্রে সাজানো ঘরটি। সূর্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ঘরের চারিপাশে লক্ষ্য করতে লাগলেন। বহু বছর পুলিশ এবং তারপরে গোয়েন্দার কাজ করার জন্য, উনি কেমন যেন একটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়র অধিকারী হয়েছেন। সেই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাকে বারবার বলছিল এখানে কোন রহস্য আছে।

ঘরের মধ্যে যেন সময় থমকে দাঁড়িয়ে। পুরনো বাড়ির ছাদের মাঝে কাঠের করি-বরগায় ঝোলানো ফ্যানটা ঘুরছে ধীরে ধীরে, অদ্ভুত এক কাঁপুনি নিয়ে। বাইরে ব্যাঙয়ের অবিশ্রান্ত ডাক।

শৌর্য ঘরে ঢুকেই যে জিনিসটি প্রথম লক্ষ্য করলেন, তা হলো একটি টেবিল ঘড়ি, যেটি থেমে আছে— রাত ১টা ১৭ মিনিটে।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
“কে প্রথম দাদুর ঘরে ঢুকেছিল?”
নীলাঞ্জনা জবাব দিল, “বাড়ির কেয়ারটেকার জনার্দন কাকু। ভোরে রেখা চা দিতে এসে দাদু দরজা না খোলায় রেখার ডাকাডাকিতে বাড়ির সবাই জড়ো হয়। তারপর দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকা হয়।”

শৌর্য আবার তাকালেন চারপাশে—
ঘরের জানালা বন্ধ, কিন্তু কড়া লক নয়। খাটের পাশের টেবিলে একটি ঢাকা দেওয়া জলের গ্লাস, এখন খালি। জানালায় গরাদ, তাই বাইরে থেকে কারুর আসা সম্ভব নয়।

এরপর তিনি গেলেন বাড়ির লাইব্রেরিতে, যেখানে তেজেন্দ্র  নিজের লেখা পড়া করতেন। পুরনো একটি কাঠের আলমারিতে সম্ভবত তালা দেওয়া ছিল, কিন্তু এখন তালাটি আধভাঙা অবস্থায় দেখা গেল। কারো যেন জোর করে খুলেছে।

তিনি জনার্দন কাকুকে ডাকলেন।
“তুমি কি জানো, কোন উকিল বা কারো কাছে উইল কোথাও রাখা ছিল?”
জনার্দনের চোখে-মুখে ভয়। সে মাথা নেড়ে জানাল যে সে এ সম্বন্ধে কিছুই জানে না তারপর গলা নামিয়ে বলল,
“ছোটবাবু, মানে তেজেন্দ্রবাবুর বড় ছেলে… প্রায়ই রাতে লাইব্রেরিতে আসতেন। আমি শুনেছি, একটা বড় জমির ব্যাপারে ওঁদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। দাদুবাবু বলতেন, সব সমান ভাগ হবে।”

পড়ার টেবিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু কাগজপত্র। কিছু পুরনো চিঠি, কলম, আর একটি পেনড্রাইভ।

তিনি বললেন,
“এই পেনড্রাইভ কার?”

নীলাঞ্জনা চমকে উঠল,
“আমি জানি না! ওটা আগে দেখিনি!”
শৌর্য সেটি নিজের ব্যাগে রাখলেন — “বিশ্লেষণ করতে হবে।”

শৌর্য এবার সরাসরি বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে এক এক করে কথা বললেন—

১) বড় ছেলে অমিতাভ — কলকাতায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। একটু চাপা প্রকৃতির মানুষ। সহজে পেট থেকে কথা বের করা যাবে না। বাবা মারা যাবার কদিন আগে থেকেই সস্ত্রীক নন্দন ভিলাতে রয়েছেন।

২) ছোট ছেলে দিব্যেন্দু — কলকাতায় চাকরি হারিয়ে এখন গ্রামের বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকতেন। মদ্যপান  করার অভ্যাস আছে। মোটামুটি অলস এবং নেশাখোর একটি মানুষ। সেই কারণে টাকা-পয়সারও প্রয়োজন আছে। এসব মানুষ নেশার বশে যে কোন কাজ করে ফেলতে পারে।

৩) অমিতাভের স্ত্রী সুমিত্রা— অত্যন্ত ধার্মিক, কিন্তু সব বিষয়েই কৌতূহলী।

৪) কাজের মেয়ে, রেখা – এই বাড়িতে সর্ব-সময়ের খুবই বিশ্বস্ত এক কাজের লোক তেজেন্দ্রবাবুর খুবই ভালো দেখাশোনা করতো।  মোটামুটি বুদ্ধি রাখে এবং মুখ বুজে সর্বক্ষণ কাজ করে। তেজেন্দ্রবাবু মারা যাবার আগের রাতেও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন বলেই রেখার বিশ্বাস।

৫) বিমল বাবু-  তেজেন্দ্র বাবুর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এবং বিমলবাবুর মতে বিপত্নীক তেজেন্দ্রবাবু খুব সল্পাহারী ছিলেন এবং নিয়মিত হাঁটাচলা করে নিজেকে সুস্থ রেখেছিলেন। কাজেই বন্ধুর এই ধরনের অকস্মাৎ মৃত্যু বিমলবাবু চিন্তার বাইরে।

৬) নাতনি নীলাঞ্জনা – একজন কুড়ি বছর বয়সী তরুণী — চোখে স্বপ্ন, মনে প্রশ্ন, আর হৃদয়ে এক অদম্য সত্যের খোঁজ। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। দাদুকে ভীষণ ভালবাসত, তার এই অকস্মাৎ মৃত্যু সে মেনে নিতে পারছে না। তার বিশ্বাস, সত্য একদিন ধরা দেবে।

৭) জনার্দন বাবু – খুবই বিশ্বস্ত কর্মচারী।  জমিদারি ও বাড়ির দেখাশোনা এবং ব্যাংকের কাজ সমস্তই দেখাশুনো করেন।

শৌর্য ভাবলেন—
“উইল হারিয়ে যাওয়া মানেই কে যেন কিছু চায়, কিন্তু পেতে চায় নিজের শর্তে। তাহলে খুনটাও কি সেই উদ্দেশ্যে?”

রাত গভীর হলে, শৌর্য লাইব্রেরির একটি গোপন তাক থেকে খুঁজে পান একটা ছেঁড়া কাগজ, যাতে লেখা—

“…যদি কিছু ঘটে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী হয়—তবে সেই সত্য লুকিয়ে আছে… পেনড্রাইভে।”

শৌর্য পেনড্রাইভটি খুলতে পারবেন কলকাতা ফিরে গিয়ে।
কিন্তু ঠিক তখনই, রেখা এসে বলল—
“দাদা, একটা কথা বলব? সেদিন রাত একটা নাগাদ আমি সুমিত্রা মেমসাহেবকে লাইব্রেরি থেকে আসতে দেখেছিলাম… ওঁর হাতে কিছু ছিল… কিন্তু আমাকে দেখে উলটোদিকে চলে যান।”

শৌর্যের মুখে হালকা হাসি।
“ছায়ার পেছনে এখন ছায়া পড়তে শুরু করেছে।”

অধ্যায় ৩: পেনড্রাইভের গোপন তথ্য

পরদিন সকাল সাতটা। কলকাতার দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত শৌর্যের ব্যক্তিগত অফিস ও বাসস্থানে একটা পুরনো ডেস্কটপ কম্পিউটার শব্দ করে চালু হল। শৌর্য সেই পেনড্রাইভটি খুব সতর্কভাবে ঢুকিয়ে দিলেন পোর্টে। স্ক্রিনে একটা মাত্র ফোল্ডার দেখা গেল: “NANDAN_FINAL”।

তিনি মৃদু কৌতূহল নিয়ে ফোল্ডারটি খুললেন। ভিতরে ছিল তিনটি ফাইল—

  1. WILL_Document.pdf
  2. Voice_Recording.mp3
  3. Image_017.jpg

প্রথম ফাইলটি খুলতেই ভ্রু কুঁচকে গেল তাঁর।
এটি ছিল তেজেন্দ্র রায়চৌধুরী র আসল উইল, তাতে স্পষ্ট লেখা—

“…আমার মৃত্যুর পর আমার সমস্ত সম্পত্তি সমানভাবে ভাগ হবে আমার দুই ছেলে এবং নাতনী নীলাঞ্জনার মধ্যে। একতরফা দাবি বা বিক্রয় আমি অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।”

এই ঘোষণাটি অনেক কিছুর ইঙ্গিত দিল— কারও লাভ কি ক্ষতিতে পরিণত হয়েছে। কে সেটা চায়নি?

দ্বিতীয় ফাইল, Voice_Recording.mp3, চালাতেই কাঁপতে লাগল ঘর।

 “আমি তেজেন্দ্র রায়চৌধুরী। আমার মনে হচ্ছে কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গত দু’এক দিন ধরে আমি লক্ষ্য করছি, আমার ঘরের জিনিসপত্র নাড়াচাড়া হচ্ছে, কিছু কাগজ হারাচ্ছে। যদি আমার কিছু হয়, তাহলে এই পেনড্রাইভটা নীলাঞ্জনার কাছে পৌঁছাক। আমি কাউকে সন্দেহ করতে চাই না, কিন্তু অমিতাভ… ওর লোভ বড় অদ্ভুত।”

শৌর্য তখনই জানলেন— এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত খুন।

তৃতীয় ফাইলটি ছিল সই করা উইলের একটি ছবি। 

তাঁর অনুমান ঠিক— কেউ রাতের আঁধারে উইল সরিয়ে নিয়েছিল। আর শৌর্য জানতেন, সেই পেনড্রাইভই এখন সত্য প্রকাশের একমাত্র অস্ত্র।

পরদিন শৌর্য ফিরে এলেন নন্দন ভিলায়, একদম চুপচাপ।

বাড়ির সব সদস্যকে বসালেন একতলার বসার ঘরে।

তারপর পেনড্রাইভ থেকে ফাইল কম্পিউটারে চালিয়ে বললেন—

“আপনারা বলুন, কে বলতে চান এই উইল ভুল? অথবা, কে বলতে চান, এই কণ্ঠস্বর তেজেন্দ্র রায়চৌধুরী র নয়?”

ঘর নীরব। ঠিক তখনই অমিতাভ  বলল—
“এই সব সাজানো ঘটন। আপনি তো একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা। আইনের কাজ পুলিশই করবে।”

শৌর্য এবার অমিতাভর দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন,
“ঠিক। কিন্তু যদি বলি, এই রেকর্ড এবং উইল আমি পুলিশের হাতে দিচ্ছি, এবং আপনাদের বাড়ির একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে, তখন?”

সুমিত্রা হঠাৎ চিৎকার করে উঠল—
“ও করেছিল! আমি দেখেছি সেদিন অমিতাভ লাইব্রেরি থেকে সেই উইল নিয়ে বেরিয়েছিল!”

অমিতাভ ঘামতে শুরু করল। শৌর্য ধীরে বলে উঠলেন—
“অমিতাভবাবু , আপনি শুধু উইল নষ্ট করেননি, বাবার ওষুধেও কারসাজি করেছিলেন। মৃত্যুর কারণ ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ’ হলেও, সেটা হঠাৎ হয়নি। আপনাকে আইনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছি।”

পরের ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত।

অমিতাভ গ্রেফতার হয়। নীলাঞ্জনা দাদুর উইল অনুযায়ী সম্পত্তির ন্যায়সঙ্গত ভাগ পায়।

আর শৌর্য সেন, নিজের ডায়েরিতে লেখেন—

“রহস্য কখনও দরজা বন্ধ করে বসে থাকে না। সে জানালা দিয়ে ছায়া হয়ে ঢুকে পড়ে, অপেক্ষা করে একজনের জ্ন্য— যে আলো জ্বালাবে।”

অন্ধকারের অন্বেষণ রহস্য গল্প – সমাপ্ত

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!