শারদ উৎসব আমাদের আপামর বাঙালির জিয়ন কাঠি। বিশেষ করে দীর্ঘ দু’ বছর পর মহামারী পরবর্তী এই পুজো যে এক্কেবারে অন্যরকম হতে চলেছে তা তো বলা বাহুল্যমাত্র।
প্রতিশ্রুতি মতো কলম পাতুরি এসে গেছে তাই শারদীয়ার বিচিত্র সব সম্ভার নিয়ে। কবিতা, গান, প্রবন্ধ, উপন্যাস, সাক্ষাৎকার, ভ্রমণ কাহিনী সহ, স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি, হাস্যকৌতুক, নাটক , যেমন এক পাল্লায় তেমনি অপর পাল্লায় রয়েছে গল্প, অণু গল্পসহ আরও বিভিন্ন রং বাহারী সব সৃজন। অসংখ্য গুণীজনের লেখায় সমৃদ্ধ এই শারদীয় ই-পত্রিকা এবারে সবার নজর কাড়বে আশা করা যায়। নাচ-গানের অডিওভিজ্যুয়াল ও দুটি ভিন্ন স্বাদের নিবেদনে এবারের পুজো সংখ্যা জমে উঠেছে। এখন শুধু পাঠকের উষ্ণতার অপেক্ষায় থাকব আমরা। দেখব কোন কোন বিষয় পাঠক ডাইজেস্ট করলেন, কোনগুলো পরখ করে দেখলেন আর কোন গুলোই বা শুধু গলাধকরণ করলেন। ফ্রান্সিস বেকন যখন এইসব কথাই লিখেছিলেন তাঁর ‘অফ স্টাডিস’ প্রবন্ধে তখন বোধহয় তিনি ‘কলম পাতুরি’ নামটির আবহ তৈরি করেই রেখেছিলেন। আমরা শুধু তাঁর কথারই প্রতিধ্বনি ধরে রাখলাম পত্রিকাটির নামকরণের মধ্যে। প্রতিবারের মতো যশং দেহি, বরং দেহি, রুপং দেহি উচ্চারণ করব ঠিকই। কিন্তু এসবের প্রকৃত অর্থ বুঝতে চেষ্টা করব। এই প্রার্থনা যেন আমাদের অন্তরাত্মার উন্নতি ঘটায়। অশুভ শক্তিকে জয় করে, আমরা যেন জিতেন্দ্রিয় হয়ে উঠতে পারি। ঢাকের কাঠি যেন আমাদের বোধ জাগরণের এলার্ম হয়ে ওঠে। সব্বাইকে জানাই শুভ শারদীয়ার শুভেচ্ছা ও অফুরন্ত ভালবাসা।
একটি মন, অসীম আবেগ
শব্দের ফুল, কলম-পরাগ
দোলা দিয়ে যায় মাতাল সোহাগে
গাছকৌটোর অনুরাগ।
তুমি-আমি শুধু ভাব মাত্র
ভালোবাসা সেই দানছত্র
দিয়ে যাও; দেখো, পাওয়া বিচিত্র
হিসেবে মেলায় সময়-পত্র।
তোমার যা কিছু সব তোমারই
মন, বৈশাখ কিংবা আষাঢ়ী
আগলে রাখে আবেগের সারি
কবিতা-গল্পে কলম পাতুরি।
গোটা একটা জীবনের অগুনতি আবেগের সাক্ষী থাকে মুহূর্তরা। সেই মুহূর্তদের অমর করে রাখে কলম এবং শব্দ। আপনার কলম এবং শব্দের সমন্বয়ে যে নতুন ভাবনা মাথা উঁচু করে দাঁড়ালো… তা প্রকাশ করি আমরা, কলম-পাতুরি।
প্রত্যেকবারের মতো এই বারও নতুন নতুন আবেগের হাত ধরে এলো আমাদের চতুর্থ পর্ব ‘বাসন্তিকা সংখ্যা’। প্রকৃতির মতো সতেজ এবং শব্দের মতো অনুভবময় থাকুন সবসময়। কলম-পাতুরি পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে শিশিরান্তিক শুভেচ্ছা।
পাতুরি নামটা শুনলে কার না জিভে জল আসে! কিন্তু শুধুই কি জিভের তৃপ্তি বা পেটের খিদে মেটানোই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য? মনের স্বাদ আর খিদেও কি আমাদের বড় নয়? নিঃসন্দেহে তা বড়। আর মনের সেই চিরায়ত চাহিদা মেটাতেই তো ‘কলম পাতুরি’। হ্যাঁ। ‘কলম পাতুরি’ নামে এই ওয়েবজিন আনতে চলেছে বৈচিত্রে ভরা একাধিক মরসুমি ডিশের সম্ভার। কী নেই সেখানে! দই-ভেটকি, ভাপা ইলিশের মতোই স্বাদু, পাতা ভরতি গল্প-কবিতা-ছবি–উপন্যাস তো থাকছেই। সঙ্গে থাকছে মন ভাল করা বিনোদনের আরও অনেক উপকরণ। স্বল্প দৈর্ঘের ছবি, সাক্ষাৎকার, নাচ, গান থেকে শুরু করে আবৃত্তি, হাস্যকৌতুক ও নাটকে সেজে উঠবে সেসব প্লেট। অডিও, ভিজ্যুয়াল, ও ছাপার অক্ষর- সাজে আসবে বিভিন্ন রেসিপি। আপাতত বছরে তিন- চারবার আমরা পাব তার স্বাদ ও গন্ধ। আগামি ২ অক্টোবর বাঙালির প্রিয়তম শারদ উৎসবের প্রাক্কালে এই ওয়েবজিনের সূচনা। কলমের রসদকে পাথেয় করে এই অন্ধকার সময়ে এগিয়ে চলা নিঃসন্দেহে এক সাহসী পদক্ষেপ। এক ঝাঁক কৃষ্টিপ্রেমী ও সৃজনশীল মানুষকে ‘কলম পাতুরি’ যেভাবে আনতে চলেছে একটা মাত্র ছাতার তলায় তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। অসংখ্য বাহারি বৌদ্ধিক ব্যঞ্জনে ঋদ্ধ সেসব ডিশে মন ভরাতে আমাদের চোখ রাখতেই হবে ‘কলম পাতুরি’ ওয়েবজিনে। ‘কলম পাতুরি’র ছোঁয়ায় জোড়া লাগুক ভাঙা মন, শুশ্রূষা পাক, পৃথিবী জোড়া দুঃখ, ক্ষত। শুধুমাত্র শরতে নয়, সারাবাছরই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখে দৃশ্য ও শব্দ যোজনায় আনন্দময় হয়ে উঠুক এই ওয়েব ম্যাগাজিন।
‘কলম পাতুরি’র প্রতিশ্রুতিময় আগামী দিনের জন্য রইল একরাশ ভালবাসা ও শুভেচ্ছা।
কথায় আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। ইলিশ মাছের মুইঠ্যা গরম ভাতে দুইটা সাথে পাবদা পাতুরি। কচি পাঁঠার ঝোল কলকাতার রসগোল্লা মিষ্টি দেখে একখানা পান। রংবাহারি কিছু মিষ্টি প্রেমের গল্প।
এসব কিসের লক্ষণ বলুন তো??
হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন দুর্গাপুজো । আমাদের বাঙালিদের দূর্গা পূজা। পাঁচটা দিন যে কোথা থেকে কেটে যায় বোঝা দায়।
ওহ ভুলেই গেলাম, বাঙালি কিন্তু পুজোর আগে পুজো সংখ্যার খোঁজ করে। কি করবে বলুন তো রবি ঠাকুর ,নজরুল, বিভূতিভূষণ, জীবনানন্দ ,বঙ্কিম, সুনীল, সুভাষ এতটাই দাগ কেটে গেছে যে এখন সেই দাগ মোছা ভীষণ দায়।
এবার পুজো সংখ্যায় অনেক পত্রিকার সঙ্গে নতুন এই কলম পাতুরি ।এই পাতুরির স্বাধ কিন্তু একেবারে আলাদা।
নাচে-গানে পূর্ণ
কাব্যের ছন্দে অভিন্ন…….
সাহিত্য প্রেমীদের জন্য এ এক নতুন উদ্যোগ। যত্ন করে পাতুরি রাঁধা আর যত্ন করে সাহিত্যের পরিচর্যা করা কিন্তু অনেক কঠিন। এই কঠিনতর কাজে যেসব মানুষ নিজেদেরকে বিলীন করে দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের কলম পাতুরি। স্রোতস্বিনীর মত বয়ে চলে যাবে প্রতিনিয়ত সাথে থাকা মানুষগুলোকে নিয়ে।
“বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে হৃদয়ে দিয়েছো দোলা” বাঙালি মানেই রঙ রূপ গন্ধের সমাহার।বাঙালি না হলে বোধ করি কতকিছুই এ জনমে অধরা থেকে যেত।বিশেষত খাদ্যরসিক বাঙালির রসচেতনা যে কোনো দার্শনিক ব্যাখ্যা কে অনায়াসে পাল্লা দিতে পারে, তা কার অজানা?প্রিয় জনের রসনাতৃপ্তি হেতু মানুষ যে নিজের বুদ্ধি কি পরিমাণ ব্যবহার করতে পারে, তার জন্য যথার্থ উদাহরণ হিসেবে নবীন ময়রার রসগোল্লা আবিষ্কার অকাট্য প্রমাণ। প্রিয় পাঠকগনের মনের অন্দরমহলের পারিপাট্য গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি-কৃষ্টির হেঁসেলে অনেক যত্ন করে,শৈল্পিক পাতুরি বানিয়ে সাংস্কৃতিক রসনার বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টায় সামিল আমরা। বাঙালি মননের সেই ইচ্ছে-কলমগুলির সাহায্যে করে গড়ে তুলতে চাই আমাদের কলম-পাতুরির সংস্কৃতির হেঁসেল।পাশে চাই আপনাদের।সাংস্কৃতিক সৃষ্টিরস আস্বাদনের এই আঙিনায় একমুঠো শারদ শুভেচ্ছা সকল পাঠক-দর্শকগণকে। ধন্যবাদ।