কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » বাসন্তিকা সংখ্যা » ছোটগল্প » মুক্তির স্বাদ

মুক্তির স্বাদ

মুক্তির স্বাদ ছোটগল্প – সন্দীপ ঘোষ

বছর পনেরোর মহুয়া তাদের মাটির বাড়ির কোঠার জানলা দিয়ে নিচের উঠোনে এক ঝাঁক পায়রার  তার মায়ের ছড়িয়ে দেওয়া গমদানা খাওয়ার দৃশ্য অপলক দেখে চলেছে | কিছুক্ষণ পর খাওয়া হলেই তারা মুক্ত গগনতলে মুক্তচিন্তায় মুক্তপথে উড়ে বেড়াবে | ফিরবে শান্তমনে, ক্লান্তদেহে মুক্তভাবে | সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মতো জাগতিক নিয়মের বন্ধনে তারাও যে আবদ্ধ | মহুয়ার এসব ভাবতে খুবই ভালো লাগে | তবে আজকাল তার মনের এক কোণে মুক্তভাবনা গুলো কেমন যেন জমাট বাঁধতে শুরু করেছে | ইদানিং তার বাবা বেশ কড়া হতে শুরু করেছেন | মেয়ের বিষয়ে বড্ড তার নজর | ঘুম থেকে ওঠা শুরু করে মায় রাত্রে শোওয়ার আগে পর্যন্ত স্কুল-প্রাইভেট- হোমওয়ার্ক-খেলাধুলা প্রতিটি বিষয়ের নিত্য আপডেট তার চাই | মহুয়ার সেই শৈশব থেকেই বিকেলে বাড়ির বাইরে বেরনোটা একটা রোজকার অভ্যেস | সেই অভ্যেস ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে |  মা ডাকছে ; 
“মৌ (মহুয়ার ডাক নাম) খাবি আয়” | ভারাক্রান্ত মনে নিচে নেমে আসে | শীতের দুপুর বিকেল বিকেল মনে হয় | খেতে বসার মুহূৰ্তে  টুলের উপরে রাখা ফোনটা বেজে ওঠে | মা স্ক্রিনে নাম দেখে বলে; 
“মাধুরীর ফোন , খেয়ে নে, তারপর ঘুরিয়ে করিস |” মহুয়ার মনে খুশির ঝিলিক দিয়ে যায় | সে উচ্ছসিত হয়ে ওঠে, বলে;
“ফোনটা ধরি ,কথা সেরেই খাব |” মা ধমকে ওঠে বলেন ; 
“বললাম তো, খেয়ে কথা বলবি | তর সইছে না, না !” ফোন রিসিভ করে মাধুরীকে মহুয়ার খাওয়ার কথা জানিয়ে ফোন রেখে দেয় | মহুয়ার মনে কষ্টের জায়গাটায় যেন ব্লেড চলে গেল | সে কোন কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ খেতে বসে যায় | খেতে হয় তাই—- আজকাল খাবার দাবার গুলো কেমন যেন স্বাদহীন লাগে | আসলে  খিদেতে টান ধরে গেছে যে তার ! চটপট খাওয়া সেরে ফোন নিয়ে চলে আসে নিজের ঘরে | কপালে চিন্তার ভাঁজ নিয়ে কল করে মাধুরীদিকে | ওপারের হ্যালো শুনেই মহুয়া বলে ; 
“মাধুরীদি ফোন করেছিলে,  কি বলবে বলো ?”
“হ্যাঁরে , তুই কি আজ  একবার আমাদের বাড়িতে চারটের সময় আসতে পারবি ?”
“হ্যাঁ যাবো | কি বলবে– এখনই বলো না ?”
“না, তুই আয়, তারপর বলছি |”
ফোন রেখে দেয় মাধুরী | 
  
             গোপীনাথপুর গ্রামটিতে প্রত্যেকটি পরিবার আর্থিকভাবে সম্পন্ন পরিবার | তবে তা বড়োমাপের চাষবাসের সৌজন্যে | শিক্ষার অঙ্গনে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পা রাখলেও পরবর্তী কালে ফিরে আসে শিক্ষিত মনের বলয়হীনতার কারণে | ছেলেরা জমির দিকে ঝুঁকে পড়ে আর মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি চলে যায় | তাদের মধ্যে গ্রামের দু-একটি পরিবার ব্যতিক্রম | এই যেমন মাধুরী আর মহুয়ার পরিবার | তাদের বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ রয়েছে | মাধুরী ইংরেজিতে এম-এ কমপ্লিট করে বর্তমানে বি এড প্রশিক্ষণের শেষ পর্যায়ে | মাধুরীদি মহুয়ার সবকিছু | শিশু বয়স থেকেই মাধুরীদির আচার আচরণ,  চিন্তাভাবনা কথাবার্তা সর্বোপরি তার হৃদয় ভরা স্নেহ-ভালোবাসা সবকিছুই ভীষণভাবে আকৃষ্ট করত |  এই মাধুরীদিই মহুয়ার এক এবং একমাত্ৰ আদর্শ | এই আদর্শকে পাথেয় করে পথচলা শুরু করেছে সে | পথপ্রদর্শক রূপে চিহ্নিত করেছে তার মাধুরীদিকে | মাধুরীর কথায় ; 
“জীবনকে জানতে বুঝতে গেলে সঠিক শিক্ষার কোনো বিকল্প হয় না | তাইতো আমাদের প্রত্যেকের উচিত শিক্ষাকে ভালোবেসে গ্রহণ করা | মালা কাকীমা, মিনু কাকীমা, সপু বৌদিদের দেখিসনি ,ওরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে কেমন পরনিন্দা-পরচর্চায়  নিজেদের ব্যস্ত রাখে | এগুলো জীবনের চালিকা শক্তি হতে পারে না | এই বদঅভ্যাস থেকেই শুরু হয় সমাজ-সংসারে নানা অশান্তি | আসলে এরা নিজের বাড়িতেও যে খুব শান্তিতে আছে তা কিন্তু নয় | পরনিন্দা-পরচর্চা বিষয়টা মনের উপর এমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যা নিজের সংসারেও অশান্তি ডেকে আনে  | হেঁশেল সামলানো ও অহেতুক নিন্দে আলোচনায় বাইরেও যে একটা সুন্দর আলোকময় জগত্ আছে তা ওরা কোনোদিন বুঝবেও না, জানবেও না, যদি না সেই আলোর সন্ধান দেওয়া হয় |”

ঠিক এখান থেকেই মাধুরী মুক্তচেতনার এক সুন্দর পৃথিবী গড়তে চেয়েছে | আর সহকর্মী হিসেবে বেছে নিয়েছে তার স্নেহের ছাত্ৰী মহুয়াকে | পরিকল্পনা রূপায়নে প্রতিবন্ধকতা  এলেও সমস্ত প্রতিকুলতাকে জয় করে  দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে | অজ্ঞ ও অল্প শিক্ষিত মহিলাদের আলোর পথে নিয়ে আসার কাজে অনেকটাই সফল হয়েছে | মাধুরী বেশ বোঝে—- জেঠিমা, কাকীমা, বৌদিরা যে পরিবেশের মধ্যে বড়ো হয়েছে তাতেই সংকীর্ণ মানসিকতার পরিসর বেড়েছে |  এতবড় একটা মহত্ কর্মযজ্ঞে নিজেকে প্রায় একশ শতাংশ নিযুক্ত করা বড়ই কঠিন | কিন্তু মাধুরী পেরেছে, তবে অনেক বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে, হৃদয় মনের শক্তি দিয়ে | তাদের জীবনবোধের সুক্ষ সুক্ষ অনুভূতিগুলোকে জাগিয়ে মনের মলিনতা দুর করার চেষ্টা করে | মাধুরী তার নিজের বাড়ির একটা ঘরে প্রত্যেকদিন বিকেল আর সন্ধ্যেবেলায় ক্লাস নেয় | কখনো কখনো মহুয়া পাশে থাকে | তার তো সামনেই মাধ্যমিক, প্রচুর পড়াশোনা | বাবা-মায়ের অনুমতি মেলেনা | যদিও পড়াশোনার বিষয়ে সে অত্যন্ত সিরিয়াস-সচেতন , তবুও তার বাবা-মায়ের মনে কোথায় যেন একটা ‘কিন্তু’ এসে ধাক্কা মারে | উপায় নেই মহুয়ার, অগত্যা মাধুরীদি তার সহায় হয় | মাধুরী উন্মুক্ত আকাশে, উন্মুক্ত দিগন্তে মেলে ধরেছে তার পবিত্র চিন্তা | তার সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম অনুভূতিগুলো দিয়ে গড়ে দিয়েছে অশিক্ষার জালে জর্জরিত মানুষগুলোর ভবিষ্যত জীবনের জয়গাঁথা | তাই ভরসা তো মাধুরীকে করতেই হবে | তাই মহুয়া মাধুরীর হাত  ধরে এগিয়ে চলে স্বতন্ত্রবোধে হিতকারী হিসেবে নিজেকে সঁপে দিতে | আত্মবিশ্বাসী মেয়েটা মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ | গ্রামের বেশিরভাগ মেয়েরা বিশেষতঃ বড়রা আদি সংস্কৃতি ও নানাবিধ কুসংস্কারের বেড়াজালে নিজেদের আটকে রেখে অসহায়ভাবে সারাটা জীবন পার করে দেয় | এসবই মহুয়া ছোট বয়স থেকেই চাক্ষুস করে আসছে | উপলব্ধির বিস্তার ঘটলেই তার হৃদয়-মন কেঁদে ওঠে | সে নিজেকে স্থির রাখতে পারে না | 

        এই তো সেদিন– মহুয়া প্রাইভেট টিউশন্ সেরে বাড়ি ফেরার পথে শেফালী জেঠিমার সঙ্গে দেখা | তিনি দেখতে পেয়ে মহুয়াকে ডাকলেন ; 
“অ মৌ পাইবেট পড়া হৈ গেল তোর ? মহুয়া শান্ত গলায় উত্তর দেয় ; 
“হ্যাঁ জেঠিমা |”  শেফালী জেঠিমা একবার এদিক- একবার ওদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নিয়ে বলে ; 
“চল আমরা কথা কইতে কইতে ঘর যাই |” তারপর যথারীতি শুরু হয়ে যায় পরনিন্দার ফুলঝুরি | মাঝে মাঝে মহুয়া প্রসঙ্গ পাল্টে দিলেও ঘুরেফিরে সেই নিন্দার কেন্দ্ৰবিন্দুতে পৌঁছে যায় | কে কি খায়, কে কোথায় শোয়, কার বাড়িতে কে এসেছে নানা নিন্দেমন্দের গল্পে মজে ওঠেন | ঠিক এই সময় ঘটল সেই অঘটন ! পুকুর পাড় দিয়ে যাবার সময় শেফালী জেঠিমা হঠাত্ পা হড়কে গড়িয়ে-গড়িয়ে সটান পুকুরের জলে | মহুয়া ঘাবড়ে গিয়ে চিত্কার করতে থাকে | যাদের নিয়ে তার মনে অযথা এত অশান্তি শেষে কিনা তারাই তাকে উদ্ধার করলো পুকুরের জল থেকে ! শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে-ছড়ে গেছে জেঠিমার | একে বাতের রুগী তার উপরে এই বাড়তি যন্ত্রণা | সবমিলিয়ে এক নিদারুণ পরিস্থিতি | 
        পরের দিন সকালে মহুয়া, মা-বাবার কাছে অনেক কষ্টে অনুমতি আদায় করে নেয় | তারপর জেঠিমার বাড়ি গিয়ে জেঠুর সঙ্গে কথা বলে | জানতে পারে গতকাল রাতে জেঠিমাকে ডাক্তার দেখে গেছে ,চিকিত্সা হয়েছে | তাকে দ্রুত সেরে ওঠার কথা বলে আশ্বস্ত করে | পায়ে হাত বোলাতে একাগ্রচিত্তে বোঝায়, ; 
“দেখো জেঠিমা আমি তো খুব ছোট , বড়দের মন-মানসিকতা বুঝি না, শুধু এইটুকু বুঝি হৃদয় দিয়ে ভালোবাসলে, সন্মান দিলে নিজের ভালোবাসা রক্ষার পাশাপাশি অন্যের ভালোবাসা-সন্মান পাওয়া যায় | এই যে তুমি, তুমিতো খুব ভাল জেঠিমা আমার | আর লোকেদের সম্পৰ্কে তোমার ঐ বাজে চিন্তাগুলো , কি আছে ওতে ?  কিছু নেই | অন্যদের নিয়ে  ঐ ভাবনাগুলো যে, তোমার মনকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে তা কিন্তু তুমি বুঝতেও পারছনা | পুকুরপাড়ে হাঁটতে হাঁটতে তুমি অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলে, মন অকারণ ভারি হওয়ার জন্য | তোমার পা সঠিক পথে না পড়ে ভূলপথে পড়তেই এত বিপত্তি |” এক নিঃশ্বাসে এতগুলো কথা বলে থামল মহুয়া | জেঠিমা শরীরে যন্ত্রণা নিয়ে উঠে বসলেন | ছলছল চোখে বললেন;
“আমাদের সেই ছোট্ট মৌ আজ কত্ত বড়ো হয়ে গেচে, কোতা শিকলি গো এত সুন্দর ভারী ভারী কতা ? বুজেচি সব মাধুর থেকে তাই না ? তোরা দুটিতে গেরামের মেয়েদের কত খেয়াল রাখুস তা কি আর আমরা জানি নাই ?” জড়িয়ে ধরে আদর করে বলেন; 
“যা মা এবার তুই ঘর যা |” সেদিনের কথা মনে হতেই মহুয়ার চোখ দিয়ে জল যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চায় | জেঠিমাদের মতো মেয়েদের মন বোঝার মতো কেউ নেই | সমাজে এই নেতিবাচক চিন্তা বিষবাষ্পের আকারে ঘুরে বেড়াচ্ছ | এতে যে জেঠিমাদের মতো মহিলাদের দোষ নেই তা অন্তর থেকে অনুভব করে মাধুরী-মহুয়ার মতো মেয়ে | ওরা অপাঙতেয়, অবহেলিতা-উপেক্ষিতা | ওরা ভালোবাসার কাঙ্গাল যে ! কে বুঝবে ওদের মনের কথা | বুঝেছে মাধুরী……বুঝেছে মহুয়া |

    ঘড়ির কাটা প্রায় চারটে ছুঁই-ছুঁই | মহুয়া আর কালবিলম্ব না করে মাধুরীদির বাড়ি যাবার জন্য তৈরী হয়ে নেয় | যাব ভাবলেই কি আর সহজে অনুমতি মিলবে ! মা ঘরে ঢুকে বলেন ;
“কি ব্যাপার , কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি ?” মহুয়া জানে এই বাধাটা অস্বাভাবিক কিছু নয় | তাই সে শান্তকন্ঠে মাকে বুঝিয়ে যাবার অনুমতি  পেয়েও যায় | কিন্তু  সে আটকে যায় বাবার বাধায় | তিনি কোন কথাই শুনলেন না | মহুয়ার মনের অস্বস্তির জায়গাটা ক্রমশঃ ভারী হতে শুরু করেছে  | কয়েকটা মুহূর্ত  এইভাবে কাটল | তারপর হঠাত্ মহুয়ার বাড়িতে মাধুরীর আবির্ভাব | এই মেয়েটির মমতাময় মুখখানি দেখলেই মহুয়ার বাবা-মা কেমন যেন শান্ত হয়ে যান , আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন | মাধুরী ধীর,স্থির শান্ত-স্নিগ্ধ চিত্তে তার মনের কথা বলতে শুরু করে ; 
” কাকু-কাকীমা একটা খবর আছে তা তোমাদের জানাতে এলাম |” সকলেই উত্সুক ভাবে তাকিয়ে মাধুরীর দিকে | মাধুরী বলে যায় ;
“হয়ত আর আমার স্কুলকে বেশি সময় দিতে পারব না | কিন্তু কাকু-কাকীমা আমার ইচ্ছে আমার স্বপ্নটাকে টিকিয়ে রাখা । তোমরা যদি আমার পাশে থাকো তাহলে সম্ভব হতে পারে | আমার আশা তোমরা আমাকে আশাহত করবে না | আমি মৌ-এর কাছ থেকে রোজ এক থেকে দেড় ঘন্টা আমার স্কুলের জন্য নিতে চাই | কেবলমাত্র বিকেলের দিকে | কি রে মৌ পারবি তো ?” মহুয়া নীরবে তাকিয়ে থাকে মাধুরীর দিকে | এই মুক্তির খোঁজে সে দীর্ঘ প্রত্যাশী ছিল | মনে হচ্ছে আজ সেই চুড়ান্ত মুহূর্ত | মহুয়ার বাবা এতক্ষণ একমনে সব শুনছিলেন | বললেন ;
“মা, মাধুরী তুই যখন বলেছিস ঠিক আছে মহুয়া না হয় যাবে | কিন্তু মা তুই তো বললি না যে স্কুলকে কেন সময় দিতে পারবি না ?” মৃদু হাসিতে ভরে উঠেছে মাধুরীর মুখ | সে বলে ; 
” পরশু নিকুঞ্জপুর হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষিকা পদে যোগদান করতে চলেছি | আজই নিয়োগপত্র হাতে পেলাম |” মহুয়ার সারামুখে খুশির ঝিলিক বয়ে যায় | জড়িয়ে ধরে তার মাধুরীদিকে | তার মুক্তির স্বাদ মেঘমুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে শুরু করে |

মুক্তির স্বাদ ছোটগল্প – সমাপ্তি

যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!