কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

ও এসেছিল

ও এসেছিল ছোটগল্প – সংযুক্তা পাল

‘বাবা …..আমাকে ওই ডাইনীর হাত থেকে রক্ষা করুন । ও আমার ছেলেটাকে বশ করেছে।গরীব ঘরের সরল- সোজা মেয়ে ভেবে ছেলেটার বিয়ে দিয়েছিলাম। এখন তো দেখছি এ মেয়ে খুব সেয়ানা। ওকে পেয়ে আমার ছেলেটা আর আমার কাছে ঘেষছে না। বাড়িতে থাকলে সারাক্ষন শুধু বৌ বৌ করে।আদিখ্যেতা যত।আপনি এর বিহিত করুন।’

-‘তুই কি চাস বল্?’ তন্ত্র সিদ্ধ জ্যোতিষ কালীকিঙ্করের গম্ভীর প্রশ্ন।

-‘বাবা ওকে আমি তিলে তিলে শেষ হতে দেখতে চাই।‘

-‘বুঝলাম।তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। ধীরে ধীরে কাজ করতে হবে।এখন বাড়ি যা।না বলে এসেছিস।বাড়ির লোক চিন্তা করবে।আমারও সমাধিস্থ হবার সময় হল। আমি প্রতি অমাবস্যায় শ্মশানে যে শব সাধনা করি সেখানে মন্ত্রপূত জল সৃষ্টি করি।সেই জল তোর ছেলের বৌকে ছলা-কলায় ধীরে ধীরে খাওয়াতে থাকবি। দু-এক ফোঁটা পনেরদিন খাওয়ালেই টের পাবি। দক্ষিণা আমার সহকারী মৃন্ময়ের হাতে দিয়ে যা। দু’দিন পর অমাবস্যা।তার পরের দিন এসে সেই জল নিয়ে যাবি।প্রশ্ন থাকলে ফোন করিস।তবে গোপনে। স্বপ্নাদেবীকে বিদায় দিয়ে কালীকিঙ্কর তার চ্যালা রমেশকে ডেকে বলল,’বাইরে আর যেসব পার্টিরা আছে তাদের কালকে আসতে বলে দে।এখন আমি সমাধিস্থ হব।‘

কালীকিঙ্কর মূর্তিপুরের বেশ নামকরা তান্ত্রিক ও জ্যোতিষ। কাকে বাণ মারতে হবে,কার শত্রু বৃদ্ধি কমাতে হবে,কার বৌকে পৃথিবী থেকে সরাতে হবে,কার বরকে পরকীয়া করা থেকে বিরত করতে হবে সব ইনি তন্ত্র-মন্ত্রের মাধ্যমে সমাধান করেন।পিশাচসিদ্ধ এই তান্ত্রিককে লোকে ভয় আর ভক্তি দুই-ই করে।এনার সুখ্যাতি বা কুখ্যাতি গ্রামের পর গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।এখন শহরের লোকেরাও নাকি ওনার কাছে আসছে।

স্বপ্নাদেবী পাশের গ্রাম রুপ-নারায়ণপুর থেকে এসেছিল।এ গ্রামে তার বোনের বাড়ি।বোনের কাছ থেকে খবর পেয়েই কালীকিঙ্করের কাছে ‘সমাধান’এর জন্য ছুটে এসেছিল।বাড়িতে যাতে কেউ সন্দেহ না করে সেইজন্য বোনের বাড়ি ঢু’ মেরে যেতেই হবে।

কমলা খুব শান্ত-সরল স্বভাবের মেয়ে কিন্তু কথা বলতে ভালোবাসে। কৃষ্ণর সাথে বিয়ে হয়ে এবাড়িতে আসার পর স্বপ্নাদেবীকে মায়ের মতোই দেখে।তবে কৃষ্ণর বাবা অর্থাত শ্বশুরমশাইকে সে বেশি ভালোবাসে। কমলার মা-বাবা কেউ নেই।বিধবা পিসি অনেক কষ্ট করে তাকে মানুষ করেছে।কমলা মাঝে মাঝেই পিসিকে দেখে আসার আব্দার করে কিন্তু স্বপ্নাদেবী নানা ছুতোয় তা নাকচ করেন। কমলা কৃষ্ণর ফোন থেকেই মাঝে মাঝে পিসির খবর নেয় তাও আবার পাশের বাড়িতে ফোন করে।তার গরীব পিসির ফোন নেই।কমলার পতিদেবতাটি কমলাকে খুব ভালোবাসে।কমলার শ্বশুরমশাই এবং বর কাওকে নিয়ে অভিযোগ নেই।শুধু তার মনে হয় সে যেন তার শাশুড়িকেই খুশি করতে পারে না। ভদ্রমহিলা কোনোসময় কমলার সাথে ভালো ব্যবহার করে নি। সবসময়ই খোঁটা দিয়ে কথা বলে চলে।তবে কমলা কারো কাছে কখনো অভিযোগ করেনা।নিজের মনকেই নালিশ জানায়।

স্বপ্নাদেবী বাড়ি ফিরেই কমলাকে চা করতে বলে শুয়ে পড়লেন। কমলা সন্ধ্যা দিয়ে শাশুড়ির জন্য চা নিয়ে ঘরে এল। কমলা ছেলেমানুষী সুলভ ভঙ্গিতে মাসি শাশুড়ির কুশল সংবাদ জানতে চাইল। তার শাশুড়ি ঝাঁঝের সাথে বলে উঠল,’ঠিক আছে।নিজের কাজে যা। আর শোন্ আজকে টি.ভি.তে খেলা আছে।খোকা আপিস থেকে ফিরে এঘরে বসে খেলা দেখবে।কোনো অছিলায় ওকে ওঘরে ডাকবি না।‘কমলা শশব্যস্ত হয়ে বলে উঠল, ‘আমি তো কক্ষনো ডাকি না মা।ও নিজেই বরং……..’ কথাটা স্বপ্নাদেবী থামিয়ে দিয়ে বলল,’থাক্।আর ন্যাকা সাজতে হবে না। তুই ওকে কেমন নাচাস তাকি আমি জানি না?’কমলা আর এক মুহুর্ত দাঁড়ালো না।রান্নাঘরে সবজির ঝুড়ি নিয়ে কাটতে বসল।নোনা জল চোখ থেকে গাল বেয়ে ঠোঁটে এসে জমাট বাঁধছিল। মাথায় স্নেহের হাতের স্পর্শে তাকিয়ে দেখল শ্বশুরমশাই হাট থেকে এসে পিছনে দাঁড়িয়েছেন।হাতে কি একটা প্যাকেট।কমলার হাতে দিয়ে বললেন এতে নানারকম মিষ্টি আছে। তোর ঘরে নিয়ে রাখ্। শুধু তুই খাবি।‘গলার স্বর আরো নামিয়ে বলল,’তোর শাশুড়ির কথায় কষ্ট পাস না।আমি তো আছি তোর জন্য। এভাবেই স্নেহ করব’। কমলা শ্বশুরমশাইয়ের হাতটা শক্ত করে ধরল।

কৃষ্ণ ফিরেছে অনেকক্ষণ। কমলার রান্না-বান্না প্রায় শেষ।কৃষ্ণর এখন খেলা দেখতে একটুও ইচ্ছা করছে না।তবু কমলা শোবার ঘরে নেই দেখে এ ঘরে বসতেই হল।

রাতের খাওয়ার পর যে যার ঘরে শুতে গেল।স্বপ্নাদেবীর ঘুম আর আসে না। কবে সেই ‘জল’ ঘরে এনে বৌটাকে খাওয়াতে শুরু করবেন এই চিন্তায়।

আজ ভাদ্রের অমাবস্যা।শশ্মানে চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার।যেকোনো সাহসী মানুষ শব সাধনার দৃশ্য দেখলে অজ্ঞান হয়ে যাবে। কালীকিঙ্কর বসেছে শব সাধনাতে। মর্গ থেকে নিখুঁত মড়া জোগাড় করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর বিশুকে এব্যাপারে অনেক টাকা দিতে হয়। মদ তো আছেই।কালীকিঙ্কর অনেক আগে শব সাধনাতে সঙিনী হিসাবে তার বৌ রাজলক্ষীকে নিয়ে বসত।উলঙ্গ হয়ে ওভাবে বসে থাকাতে তার ছিল তীব্র আপত্তি। টানা দু’বছর স্বামীর নির্দেশে ‘কাজ’ করার পর ধীরে ধীরে তার মাথাটা খারাপ হতে শুরু করেছিল।কোথা দিয়ে কি হল,একদিন নেশার ঘোরে স্বামীর সাথে শব সাধনা করতে করতে দৌড় দিল পাশের রেললাইন বরাবর।রাতের ট্রেনে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল দেহ।কালীকিঙ্কর দৌড়েছিল পিছনে।শেষরক্ষা হয়নি।কালীকিঙ্করকে অনেকদিন শব সাধনা থেকে বিরত থাকতে হয়েছিল।রাজলক্ষীর দেহ শনাক্ত করতেও সে যায় নি।পুলিশ হাজার জেরা করবে।বৌ ওখানে গেল কি করে?পরনে একটুও সুতো নেই কেন?ইত্যাদি।কি দরকার?মরেই যখন গেছে যাক গে।মরে বেচারী অমন স্বামীর হাত থেকে বেঁচে গেছে।এখন কালীকিঙ্কর বেআইনী শবের খোঁজ ঠিকমতো পায় না।তার ওপর মেয়েছেলে! ধুর। তবে পার্টি বেশি মালকড়ি ছাড়লে কথা আছে।নয়তো মদ আর জলে মন্ত্র পড়ে কাজ চালিয়ে দেয়।কাজ হলে হবে,না হলে না হবে। কালীকিঙ্কর মনে মনে ভাবে , এই বুড়িটাতো আবার অনেক মালকড়ি দেবে বলছে।কাল ফোন করেছিল।তার ছেলের বৌকে একমাসের মধ্যেই মৃত দেখতে চায়।বোঝো ঠ্যালা। এইসব বুড়িগুলো সমান।কালীকিঙ্কর যখন বিয়ে করেছিল তার মা’টা বৌকে কম জ্বালিয়েছে নাকি! এখন বৌ মরে গেছে,নিজে পঙ্গু হয়ে পড়ে আছে।যমেরও অরুচি।

ফুটে একটা মড়া জোগাড় করে এনেছে। দিলু ওই খারাপ মেয়েছেলেটাকে নিয়ে আসতে পারলেই হয়।তান্ত্রিক শবের পাশে বসে আকন্ঠ মদ্য পান করে।ধুপকাঠি-মোমবাতি জ্বলছে।তান্ত্রিকের চোখ বন্ধ। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে চোখ না খুলেই টের পেল দিলু কাকে যেন রেখে গেল। নেশা করিয়ে আনার কথা ছিল। না হলে সঙ্গমে কাঁইকুঁই করবে। কালীকিঙ্কর শবের সামনে নারীসঙ্গ উপভোগ করে যজ্ঞ করতে বসল।আগুণের শিখা যত উপরে ওঠে অতৃপ্ত আত্মাগুলো আরো বেশি করে ভিড় করে কালীকিঙ্করের আশেপাশে।বুভুক্ষু আগুনের শিখার জিভ লকলক করে, যাকে পাবে তাকে খাবে।ধুলোর ঝড় ওঠে শশ্মান জুড়ে।সব কিছু শান্ত হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হয়।রুদ্রাক্ষ জপতে হয় দুষ্টু আত্মাগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য। নতুন মেয়েটার প্রাণনাশ যাতে না হয় তার জন্য তার অচেতন নগ্ন শরীরটার ওপর রাখা থাকে রুদ্রাক্ষ।সারারাতের ভয়ঙ্কর কর্মকান্ডের পর সামনে রাখা তাম্রপাত্রের জল মন্ত্রপূত জলে পরিণত হল।এর দাম কত হতে পারে কত?ভাবতে ভাবতে কালীকিঙ্কর আশ্রমে পৌঁছয়।স্বপ্নাদেবী বসে আছে সেখানে।

দশহাজারে ওই জলের রফা করে স্বপ্নাদেবী আনন্দে লাফাতে লাফাতে বাড়ি ফেরে।শুরু হয় বৌয়ের খাবারের মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া। কাক-পক্ষীতেও টের পায় না যেন।মনে মনে ভাবেন পনেরদিন পর থেকে তুই যমদূতের প্রিয় হতে শুরু করবি।এত ঘেন্না একটা বাচ্চা মেয়ের প্রতি বৃদ্ধার তৈরি হয়!অমানুষ বোধহয় এরকমই।ঠিক পনেরদিনের মাথায় কমলার মাথাটা কেমন ঘুরে ওঠে।গা গুলোয়।তার পিসিকে ফোনে সে সব জানায়।আর আড়াল থেকে একজন কথাগুলো শুনে আনন্দে ডগমগ হয়ে ওঠে। বেচারী কমলা আর তার পিসি ভেবেছিল খুশির খবর।দিন যত এগোয় কমলা আরো ক্লান্ত আর অসুস্থ হয়ে পড়ে।কৃষ্ণ ডাক্তারের কাছে নিতে চাইলেও সে যায় না।কৃষ্ণকে বলে ও কিছু না। পরের দশদিনে একদম শুকিয়ে যায় কমলা।একদিন অজ্ঞান হলে কৃষ্ণ ডাক্তারের কাছে নিয়ে ছোটে।ডাক্তার কোনো সদুত্তর দিতে পারে না।আরো সাতদিন যমে মানুষে টানাটানির পর কমলা আশ্বিনের এক সন্ধ্যায় শেষ হয়ে যায়।কমলার বর,শ্বশুর,পিসি কমলার শেষ সময় বড় আগলে রেখেছিল তাকে।একজন মানুষ শুধু নির্বিকার।

কমলা চলে যাওয়ার পর কেটে গেছে আরো একমাস।কমলার বর বা শ্বশুর স্বপ্নাদেবীর সাথে পারতপক্ষে কথা বলে না।স্বপ্নাদেবী নিজে এখন ঘরের সব কাজ করে। এখন আর তার কোনো কষ্ট হয় না।নতুন উদ্যম যে।কাঁটা নেমে যাওয়ার উদ্যম।

কালীকিঙ্কর আজ অমাবস্যায় আবার বসেছে যজ্ঞ করতে।এবার আর একটা মালদার পার্টিকে মন্ত্রপূত জল বানিয়ে দিতে হবে।হাতে হাতে নোট।আজ যেন শশ্মানে অদ্ভুত এক অস্বস্তি।কালীকিঙ্কর নেশা করলেও সজাগ।দিলু একটা মেয়েকে নিয়ে এসে দিয়ে গেল।নেশার ঝোঁকে চুল ঝাকাচ্ছে আবার শান্ত হয়ে যাচ্ছে।কালীকিঙ্করের আজ যেন কিছু ঠিক লাগছে না।শবের পাশে বসে এক মনে সাধনাও করতে পারছে না। খালি মনে হচ্ছে কারা যেন তার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এত তাড়াতাড়ি প্রেতাত্মাদের আসার কথা নয়।একটু ভয় লাগছে।শক্ত করে জপের মালাটা ধরে বসে। চোখ বুজে মন্ত্র পড়ে যায়।ঘি ঢালার জন্য চোখ খুলতেই দেখে মেয়েটার চোখ ভাটার মতো জ্বলছে। আর একি!মেয়েটার মুখ বদলে যাচ্ছে কেন! এ কার মুখ। চোখ কোটরে,জিভটা বড় হয়ে বেরিয়ে আসছে।কি বীভৎস। রুদ্রাক্ষের মালাটা চেপে ধরে পালাতে গিয়ে সামনে রাখা শবের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে।ছিটকে যায় মালা। ব্যস।ভয়ানক মুখের মেয়েটা কালীকিঙ্করের গলাটা টিপে ধরে গগণ-বিদারী চিৎকার করে বলে,’ওরে তুই আর কার কত ক্ষতি করবি রে?যাদের মেরেছিস তারা বড় ভালো ছিল রে? মানুষের দাম শুধু নোটে?তোর দাম দেবে আজ আমার পোষা শেয়াল কুকুরগুলো।‘ কোথা থেকে হিংস্র জন্তুগুলো এসে কালীকিঙ্করকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে খেল।মেয়েটা কিছুক্ষণ সেই দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।

একে অমাবস্যা তায় গোটা গ্রামে লোডশেডিং।গরমে স্বপ্নাদেবী দাওয়ায় এসে শুলেন।কৃষ্ণ তার ঘরে।তার বাবাও তাই। কৃষ্ণর মনে পড়ছে লোডশেডিং থাকলে কমলা সমানে তাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে ঘুম পাড়াত।আর এখন …….।ওদিকে কমলার শ্বশুর মশাই অন্ধকারে মেয়েটার কথা ভেবে দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলছে।স্ত্রীর ভয়ে দিনের আলোয় কাঁদলে শুনতে হয়, ‘ঢং।পরের মেয়ের জন্য দরদ।‘

রাত তখন কটা কে জানে।এক গোঙানীর শব্দে বাপ-বেটায় উঠে এসে দেখে স্বপ্নাদেবী গোঙাচ্ছে।হাত-পা-মুখ সব বেঁকে গেছে।কি যেন বোঝাতে চাইছে।হঠাৎই কারেন্ট চলে এল।কৃষ্ণ মায়ের বিস্ফারিত চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,’মা জল খাবে? এরকম করছ কেন?’ কিছুই বলা হল না স্বপ্নাদেবীর।ডাক্তার এল।বলল,’স্ট্রোক হয়ে গেছে।কিছু করার নেই।এভাবেই যতদিন বাঁচেন আর কি!’ স্বপ্নাদেবী এভাবেই বছর পাঁচেক বেঁচে ছিলেন।মাঝে মাঝেই বেকে যাওয়া মুখ আর হাত দিয়ে কি বোঝাতে চাইতেন তিনিই জানেন।

ও এসেছিল ছোটগল্প – সমাপ্তি

যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!