কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » পুজো সংখ্যা ১৪২৮ » এক চিলতে রোদ্দুর

এক চিলতে রোদ্দুর

এক চিলতে রোদ্দুর কবিতা – পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী

সেদিন শ্রাবনের বর্ষণক্লান্ত সন্ধ্যায় আধভেজা হয়ে বাড়ী ফিরলো অনিকেত । বুকের মাঝে জমেছে হতাশার একরাশ কালো মেঘ।সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু অদ্রিজার সাথে একটি বিষয়ে ক্ষনিকের মনোমালিন্য এবং তার জন্যই রং তুলি দিয়ে ধীরে ধীরে সযত্নে আঁকা জীবনের রঙিন ক্যানভাসটি যেন বিবর্ন হয়ে উঠেছে।Drawing-room এ বসে অনিকেত মনের কোণে সযত্নে রাখা সুখস্মৃতির album থেকে পৃষ্ঠা ওল্টাতে থাকে।বাইরের দমকা ঝড়ো হাওয়ায় জানালার কপাট দুরদার শব্দে খুলে গেল,একরাশ মিঠেল হওয়ায় মাটির সোঁদা গন্ধ ভেসে এলো। না সত্যিই রাতে চোখের পাতা দুটি পরস্পরকে চুম্বন করতে এগিয়ে আসেনি।অভিশপ্ত একটা রাত কেটে গেল।সকালে এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে ব্যালকনিতে বসলো অনিকেত।আকাশ তখনো ছায়াবৃত।ঠিক তখনি মেঘের বুক চিরে একচিলতে রোদ্দুর রাঙিয়ে দিলো অনিকতকে ।এক লহমায় সম্বিত ফিরলো তার।সম্পর্কের বন্ধন কি এতোই ঠুনকো?সম্পৃক্ত ভালোবাসা কি একটি ভুলেই অসম্পৃক্ত হবে? না না তা হতে পারে না।অনিকেতের কম্পিত হাত মোবাইলের চেনা নম্বর গুলোতে আঘাত করলো,অন্যপ্রান্তে রিং বেজে উঠলো, সাময়িক উত্তেজনায় অনিকেতের সমস্ত ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছিল, অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ,খুব চেনা কন্ঠস্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ার শব্দ টুকু এলো।আমি আসছি বলে ফোন অফ করে সে ছুটে চললো তার destination এর দিকে।এক অদ্ভুত ভালোলাগার আবেশে শিহরিত হলো অনিকেত।সে realize করলো প্রকৃত ভালোবাসা শুধু দুহাত ভোরে ভালোলাগা ও ভালো থাকার পসরা সাজিয়ে দেয় ,সেগুলোকে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে শিখতে হয়।

এক চিলতে রোদ্দুর কবিতা – সমাপ্তি

যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!