কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » পুজো সংখ্যা ১৪২৮ » ভালোবাসা

ভালোবাসা

love

ভালোবাসা ছোটো গল্প –

“ভালোবাসা” কথাটার গাঠনিক রূপ চারটি শব্দের সমাহারে, যেখানে থাকে শৈশব, কৈশোর, বাল্য এবং বার্ধক্য। আর এই চারটির মিলিত সংমিশ্রণের সম্মিলিত রূপ হলো ভালোবাসা।

এই ভালোবাসার মধ্যে জড়িয়ে থাকে আশৈশব থেকে বার্ধক্যের যোগ সাজুয্যে গড়ে ওঠা এক সেতু।যেটাতে অবরোহন করে প্রকৃতিরিদ্ধ জীবের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ তার জীবনের প্রদীপ জ্বালিয়ে চলে।

এই ভালোবাসা তাই একসময় ভালোলাগাতে পর্যবসিত হয় মানুষের বোধের ভারে,কেন না জানি এটাই প্রকৃতির নিয়ম।আবার এই নিয়মের বঞ্চনাকে অবহেলা করে পৌঁছে যেতে ভুল করেনা ভালোলাগাকেই জীবনের এক সেরা হাতিয়ার তৈরী করতে যেখানে দুজন দুজনের প্রতি তৈরী হওয়া ভালোবাসাকে শক্ত রজ্জু বানাতে।নাকি সেটা শেষ জীবনের এক উন্মোচিত গাঁথা মালা। যেটা কখনও না ছেড়ার ধন।এই ভালোবাসা তাই কখনও ঠুনকো না হয়ে হয়ে ওঠে দুজন থেকে দুজনার পরিবারের ভালোবাসা।আবার এই ভালোবাসাই পরিবারের অতল তল থেকে মুক্ত খুঁজে শেষ পরিণতি পায় হাসপাতালের বেডে।যেখানেও থাকে বৃদ্ধ বয়সের না ছেড়ে যাওয়ার আহাজারি। থাকে আকুল কান্না।তাই এই ভালোবাসা এমনই অলিক বস্তু যেটা চোখে দেখা না গেলেও মানসচক্ষু দিয়ে অনায়াসেই প্রত্যক্ষত হয়।প্রদর্শিত হয় ভালোবাসার মানুষ দুটোর না দেখতে পাওয়া চোখের সামনেও অনুভূতির দেখাতে অনাবিল ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমাজে যেটা প্রয়োজন সেটা অস্তিত্বের ভালোবাসা। আর এই অস্তিত্বের ভালোবাসার ফসল হয়ে ওঠে দুজনের কোলে জুড়ে যাওয়া ফুটফুটে পৃথিবী মানে নাড়ি ছেঁড়া ধন।আর এই সব মিলে মিশে থাকার পিছনে যেটা দরকার সেটা হলো পরিবারের শক্ত রজ্জুতে নিজেদেরকে কখনও না ছিঁড়ে যাওয়ার শক্ত আবেষ্টন।  

এরপরই একের পর এক ভালোবাসার অমৃত সুধা নিয়ে পৌঁছে যাওয়া হাসপাতালের না ছেঁড়ে যেতে চাওয়া বেডে।তবুও যে আবারও প্রকৃতির নিয়মেই ভালোবাসার মানুষগুলোর শেষ স্পর্শ নিয়ে রওনা দেওয়া “শেষযাত্রা”।এখানে যদিও দাঁড়ায় “যেতে নাহি দিব” চির সত্য কথাটার দুঃখ,অভিমান, কষ্ট ভরা বিদায়।তবুও মানুষ বদলে যায়না।বদলায় না ভালোবাসার প্রকৃত সংজ্ঞা।

শুধু বদলে যায় ভালো না বাসা মানুষগুলোর কটাক্ষ অনুভূতি। তাই প্রকৃত ভালোবাসার টানে মানুষের না বদলে যাওয়া শক্ত শিরদাঁড়া নিয়েই আবার ফিরে আসা ভালোবাসার মানুষের কাছে। যেটা হয়তো হঠাৎও পৌঁছে যেতে পারে না যেতে চাওয়া “” হাসপাতালের বেডে”””।তাই বিশ্ব সংসারের অনাবিল ভালোবাসার মধ্যে কোনও খামতি থাকেনা বা বর্তমানেও নেই।তাই উভয়  উভয়ের না ছেঁড়ে যেতে চাওয়া ভালোবাসার মধ্যে যদি কোনও ভুল হয়ে যায় অজান্তে তাহলে তারজন্য পুনরায়  ফিরে আসা যায়  ক্ষমার সাজি নিয়ে-এরও নাম হতে পারে পূর্ণ ভালোবাসা।যদি দয়া, মমতায় আবারও কাছে টেনে নেওয়া স্ব-ঘন মূহুর্তের আবেগ তাড়িত অশ্রু বিসর্জন থেকে থাকে -তারও নাম হতে পারে পূর্ণ ভালোবাসা।যদি না যেতে চাওয়া “” হাসপাতালের বেডের”” শেষ স্পর্শ দিয়ে শেষযাত্রার রথ সাজিয়ে দেওয়া যায় তারও মাঝে থেকে থাকে উভয়ের ভালোবাসার পূর্ণ সত্ত্বা।

তাই পুনরায়  ফিরে আসাকে শুধু তর্কের কিম্বা কটু বাক্য বাণের কষাঘাতে আঘাত করাটাই যে পূর্ণ  বিজয় তা কোনও মতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য না হতেও পারে। সেটা হতে পারে এক ব্যার্থ ভালোবাসার জীয়ন্ত স্বরূপকাঠি।তাই যেন স্বকন্ঠের,স্ব-লেখনীতে এক পঙক্তি -” এসেছিলাম ভেবে তোমার বন্ধ হওয়া  দুয়ারে।যেখানে দেখি পরে আগেই সাজিয়ে রেখেছো রঙিন আবরণে।।সেখানেই শুধু অনাবিল শান্তি- আর অপার ক্ষমার সুন্দর সাজি।।

আর এভাবেই ভালোবাসা গুলোর নতুন রূপে নতুন জীবন ফিরে পাওয়াও সম্ভব হয়।

ভালোবাসা ছোটো গল্প – সমাপ্তি

যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন| এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!