কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » উপন্যাস » ভিতরের মেয়েটা

ভিতরের মেয়েটা

ভিতরের মেয়েটা উপন্যাস – উত্তম চক্রবর্তী

একটা শিশু সাধারণত ছোট বয়স থেকে যা যা দ্যাখে সেটাই শিখতে থাকে। আর তার উপর যদি তার বাবা মা সেভাবেই তাকে শিক্ষা দিতে থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। অনিন্দিতা বিয়ের চার বছর বাদে প্রথমে একটা মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়। যদিও অনিন্দিতা নিজে চেয়েছিল ওর একটা ছেলে হোক, ওর স্বামী নির্মল এই নিয়ে কিছু বলতেন না। কারণ নির্মল নিজে প্রথমে একটি কন্য সন্তানই আশা করেছিলেন। কিন্তু মেয়ে হবার পর অনিন্দিতা তেমন একটা খুশি ছিল না। নির্মলের মনের কথা বুঝতে পেরে সেই মেয়ে, মানে ওদের প্রথম সন্তান অমলাকে বুকে টেনে নিয়ে মানুষ করতে থাকে। তবে ওর মনের মধ্যে একটা ছেলে সন্তানের প্রবল আকাঙ্খা কিন্তু আধপোড়া কয়লার মত ধিকি ধিকি করে জ্বলতে থাকে।

ঠিক তিন বছর বাদে আবার অনিন্দিতা মা হল। আর দুর্ভাগ্যক্রমে এবারও হল একটা মেয়ে সন্তান, ছেলের কোন মুখ অনিন্দিতা দেখতে পেলনা এবারও। মনে মনে ভীষণ ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল অনিন্দিতা। এদিকে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে সামান্য চাকরি করা নির্মল বসাক আর কোন সন্তান নেবার রিস্ক নিতে চাইলেন না। বাধ্য হয়েই অনিন্দিতা ওর পুত্র সন্তানের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দিল। কিন্তু ওর দ্বিতীয় কন্যা, যার নাম ওরা দুজন মিলে রেখেছে কমলা, তাকে অনিন্দিতা ওর সখের ছেলের মত সাজিয়ে রাখত সব সময়। আদর করার সময় মেয়েকে বলত, ‘ওলে আমার সোনা বাবু। আমার সোনার টুকরো ছেলে একটা। তুমি তো আমার হীরের টুকরো ছেলে বাবু।’ এ যেন কাকের বাসায় কোকিলের ছানার বেড়ে ওঠার গল্প। না না,  এতোটা পড়ে আবার ভাববেন না যে এটা একটা ট্র্যান্স জেন্ডারের গল্প।   

এবার ফলে যা হবার তাই হল। কমলা প্রথম থেকেই নিজেকে একটা ছেলের মত ভাবতে শেখে এবং ওর যত বন্ধু বান্ধব হয় সবাই ছেলে, মেয়েদের সাথে ওর কোন ভাব হয়না, যেটা ওর দিদির হতে থাকে। নির্মল বসাক ওর স্ত্রীর এই পুত্র সন্তানের ইচ্ছা দুধের স্বাদে না হলেও ঘোলের স্বাদে মেটাবার প্রচেষ্টায় কোন বাঁধা দেননা। একটা মা যদি তার এক সন্তানকে ছেলে বলে ভাবে বা তাকে সেই ভাবেই বড় করতে থাকে তাহলে তার বাবার আপত্তি থাকলেই বা কী আর না থাকলেই বা কী ? তুমি গঙ্গার জলে স্নান কর অথবা বোতলে ভরে ঘরে নিয়ে গিয়ে সেটা দিয়ে ঠাকুরকে স্নান করাও, তাতে কিছুই এসে যায় না। গঙ্গার জল গঙ্গার জলই থেকে যায়। যেমন কমলা ছেলে সাজলেও বা মেয়ে সাজলেও ওর জেন্ডারে কিছুই আসে যায় না।  

কিন্তু কমলা যখন স্কুলে ভর্তি হতে গেল তখন অনিন্দিতার চাপে পড়ে নির্মল বাধ্য হয়েই ফর্মে মেয়ের নাম লিখলেন কমল বসাক। অনিন্দিতার যুক্তি হল কমল ছেলেদেরও নাম হয় আবার মেয়েদেরও হয়। সুতরাং কমলা যদি কমল নামেই বড় হতে থাকে তাহলে একটা ছেলের মত বড় হবে আর অনেক ক্ষেত্রেই কমলা ছেলেদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে বলে ওর বিশ্বাস। অনিন্দিতার এই বিশ্বাসের কারণও ছিল। পাড়ার ক্লাবের স্পোর্টসে দশ বছরের নিচের বাচ্চাদের একশ মিটার এবং চারশ মিটার দুটো দৌড় প্রতিজোগিতায় কমলা ফার্স্ট প্রাইজ নিয়ে ছেলেদের হারিয়ে দিয়েছে। এদিকে আবার ছেলেদের সাথে মেয়েদের দড়ি টানাটানিতে কমলা মেয়েদের পক্ষে খেলে সহজেই ছেলেদের দলকে হারিয়ে দেয়। আবার রিলে রেসেও সেই কমলা ছেলেদের দলের সাথে দৌড়ে ওদের টিমকে জিতিয়ে দেয়।

ধীরে ধীরে ছেলে বন্ধুদের মধ্যে বেড়ে ওঠা কমলা কমল নামেই সবার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। দিন যায় আর কমলা নিজে যে একটা মেয়ে সেটা ভুলে যেতে থাকে। কমলের পোশাক আসাক সবই ছেলেদের মত। চুল কাটে বয় কাট করে। জিন্স আর টি সার্ট পরে ছেলেদের সাথে ফুটবল কাবাডি আর ব্যাড মিন্টন  বা টেনিস খেলে। মতিঝিল ইওং মেন্স ক্লাবের জুনিয়র টিমের একজন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার হয়ে ওঠে কমল। সাঁতারেও কমলকে কেউ পিছনে ফেলে ওকে সেকেন্ড করে উঠতে পারে না। কমল মানেই ক্লাবের আরেকটা ট্রফি ঘরে উঠবে নিশ্চিত। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি বা অন্যন্য সবাইকার চোখের মণি হয়ে ওঠে নির্মল বসাকের দ্বিতীয় কন্যা, ছেলে হিসাবে বড় হয়ে ওঠা কমল বসাক।

কিন্তু প্রকৃতি তো অনিন্দিতা বা নির্মল বসাকের কথায় চলবে না। বয়স বাড়বার সাথে সাথে কমলের শরীরের গড়ন বদলাতে থাকে। প্রথমে ওর বুকের গড়ন বদলায় আর তারপর মেয়েদের স্বাভাবিক ভাবে বয়সের সাথে সাথে মেয়ে থেকে নারী হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এখন রজঃস্বলা কমল যতই নিজেকে ছেলে ভাবুক, বেশ বুঝতে পারে যে দুনিয়াতে ভগবান আসলে ওকে পাঠিয়েছেন একটা কন্যা সন্তান হিসাবেই। এখন ও একটা পরিপূর্ণ নারী হয়ে উঠছে। কিন্তু ছোট থেকে ওর বাবা মা এবং অন্য সবাই ওকে ছেলে হিসাবে দেখবার ফলে কমল নিজেও নিজেকে ছেলেই ভাবে এবং মেয়েদের থেকে নিজেকে দুরে রাখে।

কিন্তু ছেলেরা, যারা ওর একদম ঘনিষ্ঠ, তারা ছাড়া অন্য কেউ তো তাই বলে একটা মেয়েকে ছেড়ে দেবে না। মিষ্টি মুখ, ফর্সা সুন্দর স্বাস্থের কমল যে আসলে একটা মেয়ে সেটা তাদের বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়, সে যতই কমল পুরুষদের মত পোশাক পরে ছেলেদের সাথে ওঠা বসা করুক না কেন। এর ফলে ওদের টিম অন্য জায়গায় খেলতে গেলে বা কোন কম্পিটিশনে উপস্থিত হলে অন্য দলের শুধু নয়, খেলা দেখতে আসা দর্শকরাও কমলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে থাকে। কিছু কিছু বড় ক্লাবের প্রতিজোগিতায় কমলের মত একজন মেয়েকে ছেলেদের হয়ে লড়াইয়ে নামতেই দেওয়া হয় না।

কমল কিন্তু পড়াশুনায় তেমন ভাল নয়। ওর ষোল বছর বয়সে কমল স্কুল ফাইনাল পরিক্ষায় কোনমতে থার্ড ডিভিশনে পাশ করে স্কুলের গণ্ডি পার হয়। অমলা ওদিকে বারো ক্লাস পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে গেছে। কমল ক্লাবের খেলা, বিভিন্ন প্রতিজোগিতায় নাম দিয়ে পুরস্কার ঘরে আনা এসবেই বেশি ব্যস্ত থাকত। ক্লাবের ছেলে বন্ধুদের ছাড়া অন্য কোন ছেলেদের কাছেই ঘেঁসতে দিত না। তার উপর ওর পিছনে দাঁড়াবার জন্য ওর ক্লাবের ছেলেরা সব থাকায় অন্য ছেলেরা কমলকে বেশি ঘাটাবার সাহসও করত না। কমল এরপর খুব খাটা খাটনি করে বারো ক্লাস পাশ করে বাবা মার মুখে হাসি ফোটায়। কিন্তু কমল কলেজে ভর্তি হতে চায় না। উল্টে বাবার পাশে দাঁড়াবার জন্য চাকরির চেষ্টা করতে থাকে।

কমলের এখন বয়স উনিশ পার হয়ে কুড়ি চলছে। গায়ে যৌবনের জোয়ার বয়ে চলেছে। টাইট জিন্স ও টি সার্ট পরেও ওর উদ্ধত যৌবনকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। বাবা মা বা দিদির সাথে কমল যখন বের হয় তখন রাস্তা ঘাটে অনেকেরই মাথা ঘুরে যায় এতো সুন্দর স্মার্ট একটা মেয়েকে পুরুষের মত সেজে বের হতে দেখে। নির্মল বসাক বুঝতে পারেন কমলের জন্য ওর শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরা দিদির দিকে ছেলেরা কেউই তেমন আর ঘুরে তাকায় না। যদিও বড় মেয়ে অমলা দেখতে বেশ মিষ্টি এবং এ বছর বি এ পাশ করে এখন বিয়ের উপযোগী পাত্রী। নির্মল বসাক এর মধ্যেই অমলার জন্য সম্বন্ধ দেখা শুরু করে দিয়েছিলেন। কাশীপুরের এক পাত্র প্রতাপ ও তার বাবা মার অমলাকে দেখে পছন্দ হয়ে যায়। ছেলেটি একটা সরকারী ব্যঙ্কে ভালো চাকরি করছে।

প্রতাপ ঘোষালের বয়স আটাশ। দেখতে বেশ ভালই। লম্বায় সাড়ে পাঁচ ফুট, গায়ের রঙ তামাটে, মাথা ভর্তি চুল, পরিষ্কার করে দাঁড়ি কাটা ফ্রেস মুখ। কিন্তু প্রতাপ বিয়ের কথা পাকা করার আগে একবার মেয়ের সাথে বাইরে গিয়ে দেখা করে কথা বলতে চাইল। নির্মল বসাক এতে কোন আপত্তি করেননি। আজকাল সম্বন্ধ করে বিয়ের আগে  ছেলে মেয়েরা এরকম বাইরে গিয়ে দেখা করে কথা বলতেই বেশি পছন্দ করে সেটা ওঁর জানা ছিল। পরের রবিবার দুপুরে প্রতাপের সাথে অমলা শ্যাম বাজারে একটা নামকরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে মিট করবে ঠিক হল। প্রতাপের বাবা মা এবং প্রতাপ তাতেই খুশি হয়ে সেদিন ফিরে যায়। নির্মল বসাকের ছোট মেয়ে কমলা তখন বাড়ি ছিল না, ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়েছিল। এদিকে রবিবার নির্মল বসাক মেয়েকে একা ছাড়লেন না। কমলা এমনিতেও ওর হবু জামাই বাবুকে দেখেনি। এই সুযোগে অমলার সাথে নির্মল বসাক ছোট মেয়ে কমলাকেও পাঠিয়ে দিলেন হবু জামাইয়ের সাথে দেখা করে লাঞ্চ করে আসতে। অমলার মনে এবার সাহস আসে। নির্ভয়ে দুই বোন বেরিয়ে যায় শ্যাম বাজারের উদ্দেশে।

বিধান সরণিতে হোটেল আমিনিয়াতে ওদের দেখা করার কথা ছিল বেলা দুটোর সময়। সেই মত প্রতাপ একটা টেবিল বুক করে রেখেছিল আগে থেকেই। কিন্তু প্রতাপ জানত না যে অমলার সাথে ওর বোন কমলাও আসবে। অমলা হাল্কা সবুজ আর কালো রঙের একটা সিল্কের শাড়ি ও সাথে ম্যাচ করা ব্লাউজে খুব সুন্দর করে সেজে গুজে এসেছে আজ। আর কমলাও, মানে আমাদের কমল, নীল জিন্সের উপর আকাশী রঙের উপর ছাপা একটা সুন্দর টি সার্ট ও স্পোর্টস সু পায়ে দিদির সাথে এসে পৌঁছল আমিনিয়া হোটেলে ওর দিদির হবু জামাইকে দেখতে।

প্রতাপ জানত যে অমলার একটা ছোট বোন আছে আর সে নাকি খেলা ধুলায় ভীষণ ভাল। সেদিনও নাকি কোথায় ভলিবল ম্যাচ খেলতে গেছিল। আজ কমলকে দিদির সাথে চাক্ষুস দেখে প্রতাপের খুব ভাল লাগল ওকে। একটা চারজনের টেবিলে দুই বোন পাশাপাশি বসে সামনে বসা প্রতাপের সাথে কথা বলতে বলতে খাচ্ছিল তখন। কমল ওর হবু জামাই বাবুর সাথে বেশ ইয়ার্কি মেরেই কথা বলতে থাকে। শত হলেও কমল প্রতাপের হবু শালী বলে কথা। অমলা একটু লাজুক প্রকৃতির মেয়ে, বেশি কথা না বলে শুধু হাসছিল ওর বোনের কথা শুনে। কমল একবার দিদির মুখের দিকে তাকিয়ে আরেকবার প্রতাপদার মুখের দিকে দেখে বুঝতে চেষ্টা করছিল এই সময়ে এদের মনের ভাবটা ঠিক কী রকম হয়।

সেই রাতে কমল ঠিকমত ঘুমতে পারল না। বারবার ওর প্রতাপের ওর দিকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকানো আর ওর নিজের বিয়ের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা কী জিজ্ঞাসা করার কথাটাই মনে আসছিল। কমল বেশ বুঝতে পারছিল যে ও যতই নিজেকে একটা ছেলের মত দেখাবার চেষ্টা করুকনা কেন, ছেলেরা ওকে একটা সাধারন মেয়ের মতই দেখবে। এই প্রতাপদাও তো আজ বেশ কয়েকবার ওর পরিপুষ্ট বুকের দিকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকাচ্ছিল ও স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে। দিদির বুকের চেয়েও কমলের বুক অনেক উন্নত আকর্ষণীয়। এরপর বিয়ের পরেও যে জামাইবাবু হয়ে এসে প্রতাপদা সেই একই ভাবে তাকাবে না বা ওকে ছুঁয়ে দেখবার চেষ্টা করবে না তার কি গ্যারান্টি ? কমল আসলে কোনদিন অন্য কোন ছেলের সাথে এইভাবে আলাদা করে এতক্ষন কথা বলবার সুযোগ পায়নি। আজকের এই লাঞ্চে এসে অমলা যতটা না খুশি হয়েছে কমল তার চেয়েও অনেক বেশি খুশি হয়েছে যেন। ওর মধ্যে যেন নারীত্ব জেগে উঠতে শুরু করেছে আজ।

কমল আর অমলা একই ঘরে আলাদা আলাদা সিঙ্গেল খাটে ঘুময়। সেই রাতে দুই বোন দুদিকে মুখে করে শুয়ে একই পুরুষ মানুষের চিন্তায় ভেসে যেতে থাকে। প্রতাপদার হ্যান্ডসাম চেহারা, ওর মজার মজার কথা, ওকে হবু শালীর মত ক্ষেপানো, ওর পরিপুষ্ট স্তনের দিকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকানো যখন কমলের মনে তোলপাড় তুলে দিয়েছে, ঠিক তখনই অমলা ওর স্মার্ট দেখতে সুন্দর হবু বরের সাথে বিবাহিত জীবনে কী কী করবে সেসব চিন্তায় বিভোর হয়ে পড়ে। প্রতাপ ঘোষাল এক লাঞ্চের ডেটিং করতে এসে আজ নিজের অজান্তে ওর কথার গুগলি বল ফেলে ব্যাটিং করতে আসা দুই ওপেনারকে ছন্নছাড়া করে দেবার মত এদের দুই বোনের জীবনে ঝড় তুলে দিয়ে গেছে। কিন্তু সেই ঝড় একজনের জন্য ছিল শান্ত এবং স্নিগ্ধ বর্ষার আগমনী ইঙ্গিত, আরেকজনের জন্য ছিল কাল বৈশাখীর মত উদ্দাম আর দামাল।

কমল আজই জীবনে প্রথম বুঝতে পাড়ে যে ওর ভিতরেও একটা নারী সত্বা বর্তমান। সকালে উঠে স্নান করতে গিয়ে আজই প্রথম বন্ধ বাথরুমের ভিতর নিজের বাঁধ ভাঙ্গা যৌবনের দিকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে দেখতে থাকে। একবার ডান হাত দিয়ে একবার বা হাত দিয়ে ওর বাতাবী লেবুর মত স্তনে হাত দেয়, স্তনাগ্রে নখের ছোঁয়া দিয়ে তার স্পর্শ অনুভব করতে চেষ্টা করে, যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে দেহের কামুন্মাদনা অনুভব করার চেষ্টা করতে থাকে। এসব কিন্তু আগে কোনদিন কমলকে অতোটা ভাবাত না। কিন্তু প্রতাপকে দেখার বা ওর সাথে গল্প গুজব করার পর থেকেই আজ কমল নিজেকে একটা মেয়ের আসনে বসাতে চায়। একটা যুবতী যেভাবে নিজের কামনা বাসনার শিকার হয়, কমল নিজেই যেন আজ সেই বাঘের সামনে নিজেকে সমর্পিত করে তার শিকার হয়ে দাঁড়াল। বুঝতে পাড়ল যে ওর মনের চাহিদা অন্য রকমের। এই চাহিদা কমল আগে কোনদিন বুঝতে পারেনি। গতকাল হটাত যেন ওর মনের জানালা ঝোড় হাওয়ায় খুলে গিয়ে এক ঝাঁক বৃষ্টির ছাঁট ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে।

কিন্তু কমল কেন বারবার প্রতাপের কথা ভাবছে ? ওর দিদির সাথে তো প্রতাপদার বিয়ে একপ্রকার ঠিক হয়ে গেছে। তাহলে এখন তো প্রতাপদার কথা ভাবাটাও পাপ। দিদি যদি ওর মনের কথা জানতে পারে তাহলে খুব দুঃখ পাবে। কাল সারারাত এই একটা চিন্তাই ওকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে। কিন্তু ওর এই ভরা যৌবনকে কমল সামলাবে কী করে ? মনের গতিপথ আর ঝর্ণার ধারাকে কেউ কি কোনদিন বেঁধে রাখতে পেরেছে ? কমল সব কিছু ভুলতে চেষ্টা করেও কেন পারছে না।

কথায় আছে ‘পীড়িতের কাঁঠালের আঠা লাগলে পড়ে ছাড়ে না’। কমলকে এই কুড়ি বছর বয়সে এসে প্রতাপ নামের প্রদীপের শিখা জ্বলিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিল যেন। বাথরুমের ভিতরে দাঁড়িয়ে উন্মুক্ত শরীরের আনাচে কানাচে কমল প্রতাপের হাতের স্পর্শ খুঁজে বেড়াতে থাকে। অবশেষে ঠিক করে প্রতাপদার সাথে ওকে আরেকবার দেখা করতেই হবে। না হলে ও শান্তি পাবে না। কিছু একটা ফালতু বাহানা দিয়ে প্রতাপদার সাথে একবার দেখা করে বুঝতে হবে কমল যেটা ভাবছে প্রতাপদাও ঠিক সেটাই ভাবছে কিনা। হতে পারে হয়ত প্রতাপদার মনেও কমল ঝড় তুলে দিয়ছে কাল।

আগের দিন ওদের প্রতাপের সাথে লাঞ্চের প্রোগ্রাম বেশ ভালো ভাবে কেটেছে শুনেছিল। তাও পরিদন সকালে নির্মল বসাক ছাতে ডেকে নিয়ে ছোট মেয়ে কমলকে আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন প্রতাপকে ওর কেমন লাগল। নিচে অমলা আর ওর মা তখন রান্না ঘরে ব্যস্ত। এটাই ঠিক সময় ছোট মেয়ের মতামত জানবার। সুতরাং নির্মল বসাক দাঁড়ালেন মেয়ের সামনে। কাল বিকেলেই উনি লক্ষ্য করেছিলেন  লাঞ্চ সেরে ফিরবার পর থেকে কমল কেমন যেন একটু চুপচাপ ছিল। 

কমল বাবার সাথে অনেক বেশি ফ্রাঙ্ক। নির্মল বাবু ছোট মেয়ের যে কোন মতামতের উপর অনেকটা ভরসা করেন। অমলার সাথে ওকে কাল পাঠানোর পিছনে সেটাও একটা উদ্দেশ্য ছিল। কমলাকে সোজা সুজি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কিরে মা। কাল তোর হবু জামাই বাবুকে কেমন দেখলি ? আমাদের অমলার সাথে ওকে মানাবে তো ? তোর কেমন লাগল খুলে বল মা। তবেই কিন্তু আমি এগোব।‘

কমলা ছাঁতের একধারে দেওয়ালের ধারের সিমেন্টের বেঞ্চে গিয়ে বসে বাবার দিকে তাকিয়ে হাতের তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিয়ে বলে, ‘না বাবা। এখানে তুমি দিদির সম্বন্ধ কর না। দিদি সুখী হবে না।’

নির্মল বসাক চমকে ওঠেন। কী বলছে কী কমল ! জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেন, তোর এই কথা বলার কারণ ?’

কমলা একটা রহস্যজনক হাসি হেসে বাবাকে বলে, ‘আমার মনে হল লোকটার স্বভাব তেমন সুবিধার নয় তাই বললাম। এবার তুমি বাকিটা বুঝে নাও।’

নির্মল বসাক ভাবছিলেন যেই মেয়ে নিজেকে ছোট থেকে একজন ছেলে হিসাবে ভাবতে শিখেছে সে কী করে একটা ছেলের মনের কথা বুঝতে পারল ? এটা যদি অমলা বলত তাহলেও নাহয় বোঝা যেত। কিন্তু কমলা কিভাবে একদিনের দেখায় প্রতাপকে বুঝে ফেলল ? অবাক হয়ে বললেন, ‘তুই কি ঠিক বলছিস মা ? দেখ তোর এই একটা কথায় কিন্তু প্রতাপের সাথে অমলার বিয়েটাই আমি ভেঙ্গে দিতে পারি। সেটা কি এখনই করব নাকি আরও একটু ভেবে চিন্তে বলবি, ভেবে বল মা।’

কমলা যেন ঠিক এই কথাটাই শুনবে আশা করছিল। একটু চিন্তার ভাণ করে বলল, ‘দাঁড়াও বাবা। আমি কয়েকদিনের মধ্যে তোমাকে ফাইনাল জানাব। তুমি আমাকে একটু প্রতাপদার ফোন নম্বরটা দাওতো। আর ততো দিন ব্যাপারটাকে একটু ঝুলিয়ে রাখ।’ নির্মল বসাক কী বুঝলেন কে জানে। মাথা নাড়িয়ে শুধু বললেন, ‘ঠিক আছে, নিচে গিয়ে তোকে কাগজে লিখে দিচ্ছি। কিন্তু তুই এখনই মা আর দিদিকে কিছু বলতে যাস না আবার। দেখি তুই খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে কী জানাস, তারপর আমি এগোব মা।’ বলে মাথা নাড়াতে নাড়াতে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেলেন নির্মল বসাক।

তিনদিন বাদে বিকেল পাঁচটায় কমলকে দেখা গেল সেই শ্যামবাজারে, কাফে কফি ডের রেস্তোরাঁয় কোণার একটা চেয়ারে প্রতাপ ঘোষালের মুখোমুখি বসে কফির কাপে চুমুক দিতে। প্রতাপ অফিসে এসেই সকালে হবু শালীর ফোন পেয়ে অবাক হয়ে গেছিল। আর তার উপর কমল যখন ওকে আজই বিকেলে এই কাফেতে দেখা করবার অনুরোধ করে তখন প্রতাপ কমলকে আর না করতে পারে নি। কমলের নাকি ওকে খুব দরকার এবং আজই ও দেখা করতে চায় ওর প্রতাপদার সাথে।

প্রতাপ হাতের চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সামনের টেবিলে বসা একটা আগুনের গোলার তাপ অনুভব করছিল আর ভাবছিল ওর দিদির থেকেও কমলা অনেক বেশি সুন্দর, স্মার্ট আর সেক্সি। এই মেয়েটার সাথে বিয়েটা হলেই বোধ হয় ভাল হত। কিন্তু এ তো আবার স্পোর্টস ওমান, আদৌ কোনদিন বিয়ে করবে কিনা কে জানে ? সব তো শুনেছি ছেলে বন্ধু। তাদের সাথে আবার লটরপটর কিছু আছে কি না কে জানে ? প্রতাপ ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না কমলকে। এদিকে ওর নাকি আজ প্রতাপকে ভীষণ দরকার। কালো রঙের জিন্সের উপর পরা গোলাপী রঙের টি সার্ট ভেদ করে বেরিয়ে আসতে চাওয়া কমলের স্তনের দিকে একবার আড়চোখে দেখে নিয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘তারপর কমলা। আমাকে কী বলতে চাও বলে ফেল।’

কমল প্রতাপ টেবিলে এসে বসবার আগেই পৌঁছে গেছিল। লক্ষ্য করছিল প্রতাপদা আজও ঠিক সেদিনের মত ওর মুখের চেয়েও বুকের দিকে বেশি তাকাচ্ছে। কমলের বুকে আজ পর্যন্ত কোন পুরুষের হাত পড়েনি। মানে মনে ভাবছিল ‘ঈশ প্রতাপদাকে যদি সার্টটা খুলে একবার আমার বুকটা দেখাতে পারতাম তাহলে বোধ হয় লোকটা পাগল হয়ে যেত। এমনিতেই মনে হচ্ছে ভীষণ সেক্সি মানুষ। আর কমলকে যে ওর বেশ ভাল লেগেছে সেটা তো প্রথম থেকেই ও বুঝতে পেরে গেছে। কমল একটু লাজুক ভাবে তাকিয়ে নিচু স্বরে বলল, ‘সত্যি করে বলুন তো আপনার দিদিকে না আমাকে, কাকে বেশি পছন্দ হয়েছে ? এটা আমার জানাটা ভীষণ দরকার প্রতাপদা। মন খুলে বলে ফেলুন আপনি। আমি কিছুই মনে করব না।’ 

প্রতাপ হঠাত এরকম একটা প্রশ্নের সামনে পড়বে বুঝতে পারে নি। একটু হকচকিয়ে গিয়ে বলল, ‘মানে, হঠাত তুমি এই কথা জিজ্ঞাসা করলে কমলা ! তুমি কী ভাবছ একটু খুলে বলবে প্লিস।’

কমল জানত প্রতাপদা ভীষণ চালাক মানুষ। উল্টে এবার বলটা ওর কোর্টেই ঠেলে দিল দেখে মুচকি হেসে বলল, ‘আমার কিন্তু মনে হচ্ছে আপনার মনে দিদির প্রতি আকর্ষণের চেয়েও আমার দিকে নজর বেশি। কি আমি কি ভুল বললাম প্রতাপদা ? চোখ বন্ধ করে ভেবে বলুন দেখি।’ এক নিঃশ্বাসে কথাটা বলে কফির কাপ তুলে নিয়ে চুমুক দিয়ে বেচারা প্রতাপের দিকে সরু চোখে তাকিয়ে থাকে কমল। মনে মনে ভাবে এবার কেমন গুগলি দিলাম বলুন প্রতাপদা, সামলান এই বলটাকে।

প্রতাপের মনের কথাটা এই মেয়েটা আঁচ পেল কীভাবে ভেবেই প্রতাপ চিন্তায় পড়ে গেল। তাহলে কি ওর বুকের দিকে তাকানো দেখেই কমলার মনে এই ধারনা হয়েছে নাকি ওর দিদি ওকে কিছু বলে প্রতাপের পরীক্ষা নিতে চাইছে সেটাই ওর মাথায় ঢুকছিল না। প্রতাপ হেসে ব্যাপারটাকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে তুলবার জন্য জিজ্ঞাসা করল, ‘তোমার দিদির আমাকে পছন্দ হয়েছে কমলা ? উনি কি কিছু বলেছেন নাকি তোমাকে, যে তুমি হঠাত এরকম প্রশ্ন করছ ? তোমার আমাকে কেমন লাগে সেটা তো বললে না। আমার কথা জানবার আগে তোমাদের কথাটা বল কমলা। আমি সেটা আগে শুনতে চাই।’   

কমল বুঝতে পাড়ল প্রতাপদা ভীষণ সেয়ানা, ওর মুখ থেকেই প্রথমে শুনতে চাইছে কথাটা। মুচকি হেসে বলেই ফেলল, ‘আমার তো আপনাকে ভীষণ পছন্দ হয়েছে। মনে হয় দিদিরও আপনাকে বেশ ভাল লেগেছে। কিন্তু বিয়েটা তো আপনি করবেন। শুনেছি বিয়ের পর শালী নাকি আধি ঘরয়ালি হয়। তা আপনার কি আমাকে নিয়ে সেরকমই কিছু ভাবনা চিন্তা আছে নাকি বলে ফেলুন। আর এই জন্যই তো আমি একা দেখা করতে এসেছি আপনার সাথে, দিদি তো জানেও না যে আমি এখানে এসেছি আজ।’

প্রতাপ একটু অবাক হয়ে গেল কমলার এই গোপন অভিযানের কথা শুনে। বুঝতে পাড়ল মেয়েটা ওকে শুধু পছন্দই করে না, ওকে বাজিয়ে দেখতে চায়। প্রতাপের কমলাকে বেশ ভালো লেগেছে, কিন্তু ঐ আধি ঘরয়ালি হিসাবে দেখবে সেভাবে নয়। ও হঠাত হবু জামাইবাবুর সাথে একা এসে দেখা করতে এলো কেন ?

প্রতাপ এবার কমলের একটা হাতের উপর হাত রেখে বলল, ‘আমি তোমাকে সেদিন বার বার জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে বিয়ের ব্যাপারে তোমার কী চিন্তা ভাবনা কমলা ? কিন্তু তুমি তো কিছুই বললে না সেদিন। আমি যদি বলি যে ঐ আধি ঘরয়ালি নয়, আমি তোমাকে পুরো ঘরয়ালি হিসাবে পেতে চাই কমলা। তুমি কি রাজি আছো তাতে ? সেটা আগে বলো কমলা। আমার সত্যি বলতে তোমার দিদির চেয়েও তোমাকে বেশি ভাল লেগেছে কমলা। কিন্তু বাবা মারা এই বিয়ে ঠিক করেছেন, আমি কী করে এখন না করি বলতো ? তোমাদের বাড়ির লোকরাই বা কী ভাববেন কমলা ?’

‘বিয়েটা তো তুমি করবে প্রতাপদা। আমার মত একটা যুবতী শালী চোখের সামনে ঘুরে বেড়াবে আর তুমি আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে শুধু দেখবে, সেটা তুমি সহ্য করতে পারবে তো ? আমি তো পারব না প্রতাপদা। আমিও যে তোমার প্রেমে পড়ে গেছি, বিশ্বাস কর। জানো, আমি এই তিনদিন ঠিক করে ঘুমতেও পারিনি। সারাক্ষণ শুধু তোমার কথা ভেবেছি। আমি কিন্তু কিছুতেই পারব না  দিদির এই বিয়েটা মেনে নিতে। এবার তুমি বল তুমি কী করবে।’ কথাটা বলে প্রতাপের হাতের ওপর ওর আরেকটা হাত রাখে কমল। মনে মনে আশ্চর্য হয়ে যায় ও ছোট থেকে নিজেকে ছেলে হিসাবে ভেবে বড় হওয়া একটা মেয়ে আজ এতো সুন্দর করে প্রতাপদাকে এতগুলি কথা গুছিয়ে বলল কী ভাবে ? তাহলে কি সত্যিই ওর ভিতরের সুপ্ত আগ্নেয়গিরিটা জেগে উঠল, একটা নারী অবগুণ্ঠন মুক্ত করে এসে দাঁড়াল প্রতাপের যৌবনের প্রদীপের শিখার সামনে জ্বলে পুড়ে খাক হবার লোভে ?

প্রতাপ কমলার কথা বলবার ধরণ দেখেই বুঝতে পারছিল যে মেয়েটা ওকে ভালোবেসে ফেলেছে আর তাই আজ একা একা ওর সাথে একটা বোঝাপড়া করতে চলে এসেছে। প্রতাপ একটু চিন্তা করে ওর হাত সরিয়ে নিয়ে বলল, ‘কিন্তু তোমার বাবা মা এসব জানলে কী ভাববেন ? আমিও বা আমার বাড়িতে কী বলব বল কমলা ? আমার মাথায় তো কিছুই আসছে না। হ্যাঁ, আমিও তোমাকে চাই, মনে প্রানে চাই। কিন্তু আজ এই পরিস্থিতিতে বিয়েটা নিয়ে আমরা কী স্ট্যান্ড নেবো সেটা ভেবে দেখেছ কি তুমি ?’

কমলার তো আগেই সব ভাবা আছে। আর সেই কারণেই বাবাকে প্রতাপের চরিত্র ভালো না বলে ইশারা দিয়ে আজ এসেছে ওর সাথে নতুন করে একটা সম্পর্ক স্থাপন করতে। প্রতাপকে ওর চাই। কমল ওর সাথে আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশবে ঠিক করে ফেলেছে। কিন্তু তার জন্য একটা বিরাট ঝড়ের সামনা করতে হবে ওকে সেটাও জানে কমল। কিন্তু তার আগে ওর খুঁটির জোর কতটা শক্ত সেটা তো বুঝে নিতে হবে। প্রতাপদা কি পারবে এই বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে কমলের জালে ধরা দিতে ?

এবার যখন কমল বুঝল প্রতাপদার অবস্থাও ওর মতই তখন আবার প্রতাপের হাত নিজের হাতে নিয়ে বলল, ‘আমি ঐ দিকটা দেখছি। আমাদের বাড়ি থেকে এই বিয়ে ভেঙে গেলে কোন সমস্যা হবে না। তুমি শুধু তোমার বাড়িকে ম্যানেজ কর প্রতাপদা। আমরা তো কালকেই বিয়ে করতে যাচ্ছি না। এদিকে অন্য একটা সম্বন্ধ করে আগে দিদির বিয়েটা দিয়ে নেই, তারপর আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে কথা তুলব। তুমি কী বল, সেটাই ঠিক হবে না প্রতাপদা ?’

প্রতাপ মনে মনে কমলার বুদ্ধির প্রশংসা করল। খেলোয়াড়দের শরীর চর্চার ফলে কি তাদের বুদ্ধিও অনেক প্রখর হয় ? কমলা ছেলে সেজে থাকলেও প্রতাপের ধারনা কমলা শাড়ি কাপড় পরলে অনেক মেয়ের চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর দেখতে লাগবে। প্রতাপ কমলার এই কথায় ঘাড় নেড়ে সায় দিয়ে বলল, ‘তুমি একদম ঠিক বলেছ কমলা। অমলার বিয়ের একটা ব্যবস্থা আগে করতে হবে। দেখছি, আমার চেনাশোনার মধ্যে অনেক পাত্র পেয়ে যাব। আমি তোমাকে পাত্রের খোঁজ এনে দেব, চিন্তা করোনা।’

কমল এবার হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল একবার। সেই দেখে প্রতাপ বলে ওঠে, ‘এ কি, তুমি কি এখনই উঠবে নাকি ? আমার সাথে একটু বসে কথা বলবে না কমলা ? এখন তো সবে ছ’টা বাজে। আরেকটু বোস কমলা। আমরা আবার কবে মিট করব সেটা তো বল ? দীঘা যাবে আমার সাথে ঘুড়তে ?’

কমলা মনে মনে চমকে ওঠে। বুঝতে পারে প্রতাপের উদ্দেশ্যটা কী ? ফিস ফিস করে বলে, ‘এখনই না। যাব কয়েকদিন বাদেই যাব। তুমি যেখানে বলবে আমি যাব। আগে ঐ দিকটা একটু সামলাতে দাও প্রতাপদা। দিদির মনটা একটু ভেঙে যাবে। খুব তাড়াতাড়ি আরেকটা সম্বন্ধ দেখাতে হবে। তুমি হতাশ হয়ও না গো প্রতাপদা। আমি আছি তো তোমার জন্য।’

প্রতাপ কমলার কথার উত্তরে কিছু বলবার মত ভাষা খুঁজে পেলো না । শুধু বলল, ‘আমাকে আর প্রতাপদা প্রতাপদা বলে ডাকবে না তো। আমি তোমার জন্য শুধু প্রতাপ কমল। তুমি এই রবিবার দুপুর দুটোর সময় মেট্রো মলের নিচে চলে এসো। আমরা মেট্রোতে একটা সিনেমা দেখে রাতের খাওয়া একসাথে খেয়ে বাড়ি ফিরব। আমি তোমাকে ট্যাক্সিতে বাড়ির সামনে ড্রপ করে দেব, ঠিক আছে ?’

কমলা রবিবার ওদের আবার দেখা হবে ভেবেই মনে মনে শিহরিত হয়ে ঘাড় নাড়িয়ে বলল, ‘ঠিক আছে। আমি চলে আসব। বাড়িতে বেহালাতে খেলা আছে বলে বেরিয়ে আসব। তাতে বাড়িতে দেরি করে ফিরলেও কোন অসুবিধা হবে না। আর আমি এরকম অনেক জায়গাতেই খেলতে যাই সবাই জানে।’

একদিকে অমলা প্রতাপের বিয়ে ভেঙে গেল আরেক দিকে কমল আর প্রতাপের মেলা মেশা শুরু হয়ে গেল। মাস খানেক বাদে কমল একদিন আবার সেই মেট্রো মলের নিচে দিদির একটা হলুদ আর কালো রঙের সিল্কের শাড়ি পরে এসে দাঁড়াল প্রতাপের জন্য। প্রতাপ কমলকে এই বেশে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল আজ। ঠিক এরকমই একটা মেয়ের ছবি ও মনে মনে আঁকত কমলাকে দেখবার পর থেকে। কমলাকে এর আগে যতবার দেখেছে ছেলেদের বেশে দেখেছে। আজ কমল যেন সত্যিই একটা পদ্ম ফুলের মত ফুটে উঠেছে। ওর শাড়ীর ফাঁক দিয়ে বুকের ভাঁজ উঁকি ঝুকি মেরে বলে দিচ্ছে কমল একটা নারী, সত্যিকারের নারী। এখন কমল আর ছেলে নেই, প্রতাপের ভালোবাসায় ও এখন নারীতে পরিনত হয়েছে।

কমলের বুকে এই প্রথম একজন পুরুষের হাত পড়ল আজ মেট্রো সিনেমা হলের অন্ধকার এক কোনের সিটে বসে। কমল প্রতাপের ধীরে ধীরে সিটের পিছন দিক থেকে ওকে পেঁচিয়ে ধরে ওর খোলা কোমরে হাত রাখা, ওর বুকের নিচে আঙুল দিয়ে খেলা করা আর শেষে ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে ওর স্তনে হাত রাখায় বারবার শিউড়ে শিউড়ে উঠছিল। কমলের পুরুষের মত পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মেয়েদের শরীরের এই যে অনুভূতি এটা আজ ওর কাছে একদম নতুন। কমল ভিতরে ভিতরে এতই উত্তেজিত হয়ে উঠল পাশে বসা প্রতাপের কানের লতিতে হালকা করে একটা কামড় লাগিয়ে বলল, ‘উফ, আমি আর পারছিনা গো। কবে যাবে দীঘায় ? চল, দুদিনের জন্য ঘুরে আসি।’  

প্রতাপ কমলের স্তনাগ্রে ওর আঙুলের দুষ্টুমি করতে করতে বলল, ‘এই শনিবার সকালেই চল বেরিয়ে পড়ি। আমি হোটেল বুক করে রাখছি। সোমবার সন্ধ্যায় ফিরব। তুমিও বাড়িতে সেই ভাবেই বলে বেরোবে। আমি হাওড়া স্টেশনে শতাব্দী এক্সপ্রেসের একদম সামনের দিকে তোমার জন্য অপেক্ষা করব। তুমি স্টেশনে ঢুকলেই আমাকে দেখতে পাবে সোনা। আর তারপর শুধু তুমি আর আমি।’ বলতে বলতেই মাথা ঘুরিয়ে কমলের ঠোঁটে ওর ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় প্রতাপ। হলটা ফাঁকাই ছিল। আসে পাশে ওদের দিকে নজর দেবার মত কেউই ছিলনা বলা চলে। বৃষ্টি আসবার আগে যেমন মেঘ আসে তেমনি কমল একটা পরিপূর্ণ নারীর দেহের শারীরিক আনন্দের আগমনী বার্তায় আবেশে মজে যায়।

নির্মল বসাক ও তার স্ত্রী অনিন্দিতা বসাক কিন্তু প্রতাপের ব্যাপারে আর কিছুই জানতে পারেননি। কমলের ফিডব্যাক পেয়ে নির্মল বসাক ফোন করে প্রতাপের বাবাকে ওর মেয়ের ছেলে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েটা ভেঙে দিয়েছিলেন। অমলা একটু অবাক হয়ে গেলেও ভাবে বোন যখন বাবার আদেশে প্রতাপের চরিত্রর ব্যাপারে খবর এনেছে তখন নিশ্চয়ই ও খারাপ ছেলেই হবে। কমলের জানা শোনা অনেক বেশি। নিশ্চয়ই লোক লাগিয়ে প্রতাপের সম্পর্কে খারাপ কিছু খবর পেয়েই বাবাকে জানিয়েছে। যাক গিয়ে, ভালই হয়েছে। একটা চরিত্রহীন লোকের সাথে কে ঘর করবে ?

অনিন্দিতার নজরে পড়ল সব। মেয়ের ইদানিং কালের হটাত পরিবর্তনটা দেখে অবাক হয়ে গেলেন। যেই কমল বাড়িতে থাকলে সারাদিন হৈ হৈ করে জোরে জোরে কথা বলে হাসি ঠাট্টা করে দিদির পিছনে লেগে বাড়ি মাথায় করে রাখত, সেই কমল আজকাল কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে। খেলতে যায়, ক্লাবে যায়। কিন্তু বাড়িতে কেন যেন বেশীক্ষণই চুপচাপ থাকে আর মোবাইল ফোন নিয়ে কী সব দেখে। এরই মধ্যে সেদিন প্রথম দিদির শাড়ি পরে ওর স্কুলের বান্ধবীর বিবাহ বার্ষিকের নিমন্ত্রনে গেল। আর কমল শাড়ি পরে রবিবার দিন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে দেখে নির্মল বাবুও বেশ অবাক হয়ে গেলেন। মনে মনে খুশি হলেন যে মেয়েটা এবার সত্যিই নিজেকে মেয়ে ভাবতে শিখেছে। কী সুন্দর দেখাচ্ছিল ওর ছোট কন্যাকে সেদিন !

অমলার বিয়ের আরও দুটো সম্বন্ধ এসেছে। একটা তো কমলই এনে দিয়েছে, আরেকটা এনেছে নির্মল বাবুর এক বন্ধু। কমল ওর ক্লাবের হয়ে নাকি জামশেদপুরে একটা টুর্ণামেন্টে খেলতে যাচ্ছে দুদিনের জন্য। শনিবার গিয়ে সোমবার ফিরবে। কমল ফিরলেই ছেলের বাড়ির লোকদের মেয়ে দেখতে আসতে বলবেন নির্মল বাবু। অমলার বিয়েটা না দিতে পারলে ভদ্রলোক শান্তি পাচ্ছেন না।

দীঘার হোটেলে গিয়ে প্রতাপের কাছে নিজেকে মেলে ধরল সুন্দরী কমলা। কুড়ি বছরের যৌবনে ভরা দেহে কামনা বাসনার তুফান আগেই উঠে গেছিল। দীঘার হোটেলের বন্ধ কামরায় প্রতাপের হ্যান্ড সাম শরীরের সাথে নিজের শরীরকে মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করে ফেলল কমল। ওর শরীরে যে এতো ক্ষিদে জমে ছিল, একটা পুরুষের দেহের সাথে মিশে যাবার যে এতো মজা সেটা কমল কল্পনাও করতে পারে নি। দুই দিন দুই রাত্রি কমল ওর নারী জীবনের শারীরিক সুখের আনন্দে ভাসে বেড়ালো। কোথা দিয়ে যে দুদিন কেটে গেল কে জানে। এদিকে প্রতাপের অবস্থাও খারাপ। কমলের দেহ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করে শরীরে কটা তিল আছে আর কোথায় আছে সবই মুখস্ত করে ফেলল এই দুদিনে। এবার কমলকে তাড়া তাড়ি বিয়ে করে ঘরে তুলবার জন্য পাগল হয়ে গেল প্রতাপ।

অমলার বিয়ে হয়ে গেল শিলিগুড়ির খুব ভাল এক পাত্রের সাথে। পেপার দেখে সম্বন্ধ করেছিলেন নির্মল বাবু। ছেলে বন দপ্তরের অফিসার। ডুয়ার্সে পোস্টিং, ভাল মায়না ছাড়াও কর্ম সুত্রে সরকারি বাংলো জিপ গাড়ি সবই পেয়েছে। শিলিগুড়িতে খুব ভাল ছোট পরিবার। বিয়ের পরেই অমলা চলে গেল ওর শ্বশুর বাড়িতে। কমল এর মধ্যে আর দুইবার বকখালিতে গিয়ে প্রতাপের সাথ রাত কাটিয়ে এসেছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে এরপর অমলার বিয়ের এক মাস বাদেই এক রবিবার বিকেলে ওর বাবাকে ফোন করে কমলাদের বাড়িতে ওর নিজের বিয়ের কথা পাড়তে বাবা মাকে নিয়ে এলো প্রতাপ ঘোষাল।  

নির্মল বসাক প্রতাপের বাবা ওঁর সাথে দেখা করে ছেলের ব্যাপারে কথা বলতে চান শুনে ওঁদের রবিবার বিকেলে আসতে বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু উনি জানতেন না যে ভদ্রলোক একেবারে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সশরীরে হাজির হবেন। মুখে কিছু না বললেও প্রতাপকে দেখে ওঁর ভ্রু কুঁচকে উঠল। প্রতাপের ওর বাবা মাকে সাথে নিয়ে আসবার উদ্দেশ্যটা তখনো ঠিক ধরতে পারছিলেন না। কমল কিন্তু জানতো প্রতাপ কেন এসেছে আজ। ও ঘরেই ছিল আর বসবার ঘরে বাবার সাথে ওঁদের কথা বার্তা শুনছিল। অনিন্দিতা দেবী তখন কিচেনে চা জলখাবারের বন্দোবস্ত করতে ব্যস্ত।

হটাত বসবার ঘরে একটা উত্তেজনার গন্ধ পেল কমল। ওর বাবা নির্মল বাবু তখন উত্তেজিত হয়ে বলছেন, ‘সেটা কী করে হয় ঘোষাল বাবু ? কেন আমরা আপনার ছেলের এই আবদার মেনে নেবো ? আর তাছাড়া আমার মেয়ে কমলাই বা কেন এরকম একটা ছেলেকে জীবন সঙ্গী হিসাবে মেনে নেবে বলুন আপনি ? ওরও তো একটা পছন্দ অপছন্দ আছে তাই না ? আমার এই মেয়ে নিজেই একদিন এসে আমাকে জানিয়েছিল যে দিদির এই পাত্রের স্বভাব চরিত্র একদম ভালনা। এখন ওকে কী করে তুলে দেই সেই একই পাত্রের হাতে ? সময়টা বদলালেও পাত্র তো আর বদলায় নি মশাই।’

প্রতাপের বাবা নিচু গলায় কিছু বোঝাবার চেষ্টা করছিলেন। এরই মধ্যে অনিন্দিতা দেবী ওঁদের সামনে চায়ের ট্রে নিয়ে গিয়ে সবাইকে চা বিস্কুট তুলে দিলেন। নির্লজ্জের মত প্রতাপ আর ওর মা বসে বসে চা খেতে খেতে দুই বাবার মধ্যে কথাবার্তা শুনছিল তখন। ঘরের মধ্যে বসে কমল নিজেও কিন্তু বেশ উত্তেজিত হয়ে উঠছিল। শুধু অপেক্ষা করছিল একটা সুযোগের। আর সেই সুযোগটা করে দিলেন নির্মল বাবু নিজেই। একটু বাদেই উঁচু গলায় ডাকলেন, ‘কমল মা, একবার এই ঘরে এসো তো মা।’

কমলের পরনে তখন সাদা ট্রাউজার আর নীল বর্ডার দেওয়া সাদা ফুল স্লিভ সোয়েটার। আজ ওদের ক্লাবের টেনিস টুর্নামেন্ট। ওকে আজ যে ভাবেই হোক ম্যাচটা জিততে হবে। আর আজকের গেমটা  জিতলেই ক্লাবের ঘরে আরেকটা ট্রফি আসবে। যদিও রাতের আলোয় আয়জিত সেই ম্যাচের তখনো প্রায় এক ঘণ্টা বাকি। কমল আগে থেকেই রেডি হয়ে বসেছিল। ওকে তখন দেখতে ভারতের জাতীয় দলের একজন প্লেয়ারের মত মনে হচ্ছিল।

সাদা ড্রেসে মাথায় সাদা টুপি পরা কমল এসে দাঁড়াল ওর বাবার সামনে। একবার আড়চোখে তাকিয়ে দখল প্রতাপ লোভীর মত ওর বুকের দিকে তাকিয়ে, ওর মা ও বাবা অবাক হয়ে কমলের মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। কমল বাবাকে জিজ্ঞাসা করল, ‘বলো বাবা,কী বলবে ? আমার আবার ক্লাবে যেতে হবে।’

নির্মল বাবু মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কমল, এই অমলার সেই আগের পাত্র প্রতাপ ওর বাবা মাকে নিয়ে আমাকে বলতে এসেছে ও নাকি তোমাকে বিয়ে করতে চায়। ওর নাকি তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে। আমি বলেছি ওঁদের যে এরকম চরিত্রহীন ছেলের সাথে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দেব না। তা তোমার এই ব্যাপারে কিছু বলার থাকলে বলতে পারো মা।’

কমল দেখল ওর মা এসে দাঁড়িয়েছেন দরজার পাশে। প্রতাপ ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। ওর বাবা মা হাসি মুখে হবু পুত্র বধুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন তার উত্তর শোনবার জন্য।

কমল হটাত যেন রেগে উঠল এই কথা শুনে। মুখটা বিকৃত করে বলল, ‘হোয়াট, এই একটা বাজে নোংরা লোককে আমি বিয়ে করব ? ছিঃ, এই লোকটাকে আমরা একবার দিদির জন্য রিজেক্ট করে দিয়েছিলাম না ? আজ আবার এই লোকটা আমাদের বাড়িতে এসেছে কোন মুখ নিয়ে ? বাবা, তুমি ওদের চা জল খাবার খাইয়ে বিদায় কর। আমার এসব ফালতু কথা শুনবার কোন সময় নেই। আমি বেরচ্ছি।’ বলেই র‍্যাকেট হাতে বারান্দায় গিয়ে স্পোর্টস সু পরে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল কমল। ঠিক যেন যুদ্ধ জয় করা একজন ক্যাপ্টেন বিজেতার হাসি হেসে মাঠ ছাড়ল।

প্রতাপ ওরা সবাই যখন হতভম্ব হয়ে ওর গমন পথের দিকে তাকিয়ে তখন কমল মনে মনে ভাবছিল, আমার মেয়ের জন্মের গোপন সুখের রহস্য আমি জেনে নিয়েছি প্রতাপ। তার জন্য আমি তোমাকে একটা টেনিস বলের মতই ব্যাবহার করেছি শুধু। কিন্তু ভেবনা তোমার মত একটা নোংরা ছেলেকে আমি বরমাল্য পরিয়ে জীবন সঙ্গী করব। তোমার স্থান আমার মাঠের বাইরে। আমার যখন মর্জি যা মর্জি তাই করব। কিন্তু এই জীবনে বিয়ে আমি আর করব না।

 ভিতরের মেয়েটা উপন্যাস – সমাপ্ত

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!