কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

কাটা ঘুড়ি

কাটা ঘুড়ি ছোট গল্প – স্বপনকুমার মণ্ডল

সেই দুপুরটার কথা কিছুতেই ভুলতে পারে না রজত। মনের  নিভৃতে  নিরীহ সময় যাপন করে এক বৃষ্টি-ভেজা দুপুর। ইনসাস রাইফেলটি কাঁধ থেকে নামিয়ে পাহাড়ি রাস্তার দিকে চোখ রাখে। ঘুপচি ঘরের মধ্যে সারাক্ষণ দাঁড়াতে ক্লান্তি এসে যেত প্রথম প্রথম। এখন আর কিছু মনে হয় না। শরীর দাঁড়িয়ে থাকে প্রহরী  হয়ে, কিন্তু মন সে দায় মানে না। অতীত যেন পাথর খুঁড়ে সামনে আসে। আবার কখনও দূরের ধোঁয়াসাময় বরফ ঢাকা শৃঙ্গের মতো সব অস্পষ্ট। কিছুই ভাবতে ভাল লাগে না। আজ এই একটানা তুষারবৃষ্টির মধ্যে রজতের মন ফেলে আসা একটা দুপুরকে আঁকড়ে ধরতে চাইল। আচ্ছা, গোলাপির সঙ্গে যদি জীবনটা কাটত কেমন হত? মাঝে মাঝে আফসোস হয়। আবার ভাবে, অপ্রাপ্তিই হয়তো বাঁচিয়ে রেখেছে গোলাপিকে। প্রাপ্তিতে যে সব ফুরিয়ে যায়। যে তিথি তার জীবনের স্বপ্ন ছিল একদিন, অভ্যাসের বাইরে তাকেও আজ আর খুঁজে পায় না। এই নিদারুণ একাকীত্ব, সীমান্তে একঘেয়ে পাহারাদারি গোলাপির ভাবনায় তবু কিছুটা অর্থবহ। 

 সেদিনও এমনই বৃষ্টি পড়ছিল মুষল ধারে। রজতদের বাড়ির পাশের মেঠো রাস্তা ধুয়ে যাচ্ছিল জৈষ্ঠ্যের অকাল বৃষ্টিতে। পুরনো পূজা বার্ষিকীর পাতা উলটাতে উলটাতে আনমনা হয়ে পড়ে সে। হঠাৎ ভেজা কাপড়ে বারান্দায় এসে ওঠে গোলাপি। সৌজন্যের খাতিরে ঘরের ভিতর ডেকেছিল রজত। কিন্তু তারপর কী যে হয় তার! হিসেবের বাইরে জীবনে কত কিছু ঘটে যায়! গোলাপির ভিজে শরীরের আগুনে পুড়তে হয়েছিল তাকে। পুড়ে ছারখার। বিষাদের পঙ্কিলতা জড়িয়ে ধরেছিল শরীর-মন।

 ভালবাসা আর শরীর, এক ঘরে দুই অচেনার বসত যেন। সবাই ভাবে খুব বনিবনা। কিন্তু জীবনের এতটা পথ হেঁটে এসে আজও রজতের মনে হয়- ‘তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা, মন জানো না’। প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও গুনগুনিয়ে ওঠে সে।

কয়েকদিন বাড়িতে কাটিয়ে শহরের মেসবাড়িতে চলে গিয়েছিল রজত। তিথির সঙ্গে দেখা করেনি।  নিজেই ভাঙতে চেয়েছিল সম্পর্কটা। কারণ গোলাপি তাকে বিভ্রান্ত করে। বলেছিল, অন্য একজনকে বাড়ির সম্মতিতে বিয়ে করছে সে। রজত বিশ্বাস করে। কারণ অন্য কারও সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখলে তিথিকে দোষ দেওয়া যেত না।

 বছর ঘুরে গিয়েছিল ক্রমে। হঠাৎ একটি চিঠি পাঠায় তিথি। রজতের সঙ্গে কথা বলতে চায়। বিষয়টি জেনে মেসের এক অভিজ্ঞ দাদা তাকে বলেছিল, “কাটা ঘুড়ি আর কাটা প্রেমের কোনও হিসেব রাখতে নেই।” রজত হেসেছিল খুব। কিন্তু হাসতে হাসতে শেষের দিকটা কীরকম আনমনা হয়ে পড়ে। মেস ঘরের মেঝেতে পা ঘসতে ঘসতে কিছু একটা হিসেব মেলাতে চায় যেন।

এই ঘটনার আরও এক বছর পর রজত সেনাবাহিনীতে চাকরি নিয়ে চলে যায়। সৈনিক হওয়ার স্বপ্ন তার ছোট থেকেই। হাজার প্রতিকূলতার মাঝেও কঠিন অনুশীলন থেকে সে কখনও বিচ্যুত হয়নি।  ছ’ফুট দু’ ইঞ্চির তাগড়াই চেহারাটায় জঙ ধরেনি কখনও। কিন্তু গোলাপি যেন নেশার মতো টেনে ধরে তাকে। তার ভাষা, শরীর সব বড় সাহসী। রজত অস্বীকার করতে পারত না। যদিও একটা অপরাধবোধ সর্বক্ষণ তাড়িয়ে ফিরত। এই বিভ্রান্তিময় জীবন আর সম্পর্কের দোলাচল থেকে রজত পালাতে চেয়েছিল। এপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে এক রাতে ট্রেনে চেপে রাজকোটে চলে আসে। গোলাপিকে সে ভালবেসেছিল কি না মনের মাঝে তা অমীমাংসিত ছিল বহুকাল।                          

বরফে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে। রুম হিটারের সুইচটা অন করা দরকার। দু’ তিনটি ট্যুরিস্ট গাড়ি এই দুর্যোগের মধ্যেও বেরিয়েছে। চোদ্দ হাজার ফুট উপরে ছাঙ্গু লেক। সেখান থেকে ফিরছে। বরফ দেখার আনন্দ ওদের চোখে মুখে। ঝাপসা আলোর মধ্যে কয়েকজন হাত নেড়ে গেল। রজত অন্যদিন সাড়া দেয়। কিন্তু আজ যেন ইচ্ছে হল না। কর্নেল গুপ্ত ওয়ারলেসে হ্যালো হ্যালো করে যাচ্ছে। সাড়া দিয়ে সামান্য দু’চারটি সাংকেতিক কথা বলল সে। তারপর আবার টুলের উপর বসে অথবা ঠায় দাঁড়িয়ে পাহারা আর পাহারা।

বছর পনেরো হয়ে গেল সেনাবাহিনীর কঠিন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে রজত। বিয়ে করেছিল রাজকোটে পোস্টিং থাকাকালীন। তিথিকেই বিয়ে করেছে। ওর মা খানিকটা বাধ্য করেছিল এই বিয়ে করতে। ওর নির্বিরোধ প্রতিবাদহীন আনত চোখের মাঝে কোথায় যেন লক্ষ্মী লক্ষ্মী ভাব খুঁজে পেয়েছিল তার মা। ঘরের লক্ষ্মী। অতএব, মায়ের কথা তাকে শুনতে হয়েছে। পুরনো ভালবাসা আবার প্রাণ ফিরে পায়। কলকাতার কাছে এক শহরতলী গড়িয়া। এখানেই তিথি থাকে রজতের সংসারের সমস্ত দায় নিয়ে।  ছেলে-মেয়ে সেন্ট্রাল স্কুলে পড়ে। সীমান্তের প্রহরী রজত।  ঘুরে বেড়ায় এক ব্যারাক থেকে আর এক ব্যারাকে। যুদ্ধের প্রস্তুতি আর সীমান্তের শত্রুর কথা ভেবেই এতগুলি বছর কাটিয়ে দিল। রজত বলে,

“এ এক অন্য জগৎ। মন বস্তুটির পরিচর্যা এবং প্রয়োজন এখানে কম। আবেগ আহ্লাদ দূরে রেখে কর্তব্যময় জীবন।”

এখন মোবাইলে কথা বলা যায়। তিথির সঙ্গে ভাব-ঝগড়া, ছেলে-মেয়ের পড়াশুনো, মায়ের চিকিৎসা নিয়ে কথা– সবই মোবাইলে। প্রয়োজনের ওপারে কথা বলা আর হয় না। উরিতে পোস্টিং থাকার সময় বেশ কিছুদিন বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারেনি। সীমান্তে অশান্তি চলছিল। প্রতিদিন খবর  হয় সংঘর্ষের। রজতের পরিচিত দু’চারজনকে বদলি করা হয়েছিল সংঘর্ষস্থলে। ওদের আর খবর মেলেনি। এমনই হয়। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে  প্রতিদিন জীবনকে চেনা। 

মায়ের চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে তিন মাসের ছুটি পেয়েছিল রজত। পুরোপুরি সংসারি জীবন  খানিকদিন। তিথিকে আগের মতো করে খুঁজতে চেয়েছে কতবার। কিন্তু সংসার-সন্তান  দায়িত্ব পালনের বাইরে তাকে আর খুঁজে পায় না যেন। পাশাপাশি দুটো মানুষ যে থাকে, এ যেন শুধু অভ্যাস আর কিছুটা দায়।

এক শনিবার তিথি বলল, “চলো বিপত্তারিণী মন্দিরে মানতটা রেখে আসি।”

রজত বলে, “কীসের মানত?”

 “তুমি যখন উরিতে পনেরো দিন কোনও খবর দাওনি, আমি মানত করেছিলাম।”

 রজতের মনে পড়ে গেল সেই দিনগুলির কথা। দৈবশক্তির উপর  কখনও সে খুব একটা বিশ্বাস রাখে না। কিন্তু দুর্গম সীমান্তে নিত্য গোলাগুলির মধ্যে অজান্তে মন্দিরের দিকে চোখ চলে গেছে কতবার ! তিথি পনেরো দিন পর  ফোনে পেয়ে শুধুই কেঁদেছিল। সেরিব্রাল অ্যাটাকে আংশিক পঙ্গু  রজতের মা  রাত দুপুরে আধঘুমে চিৎকার করে উঠত। তিথি সমস্ত আশঙ্কা, কান্না চাপা দিয়ে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলত, “ভাল আছে।” সেই রাত জাগা দীর্ঘশ্বাসদীর্ণ সময়ে সে মানত করেছিল।        

 বাড়িতে আসা থেকে আলসেমি যেন পেয়ে বসেছে রজতের। কোথাও বেরুতে মন চায় না । কিন্তু সেই দিনগুলির কথা মনে করে তিথির কথায় অরাজি হতে পারল না। সকাল সকাল লালপাড় শাড়ি পরে তৈরি হয়ে তাড়া দিল তিথি।  বেরিয়ে পড়ল দু’জনে। পূজার থালা হাতে সে। রজত তাকিয়ে দেখল বেশ লাগছে। বিপত্তারিণী মন্দিরে পৌঁছাতে ঘন্টা খানেক লাগল। একজন মাঝবয়সী পুরোহিত দুর্বোধ্য মন্ত্রোচ্চারের সঙ্গে হাতের চামর দুলিয়ে যাচ্ছে। মাথায় লম্বা চুল, কপালে সিঁদুর, রক্তবর্ণ পোশাক। তিথিকে অনুসরণ  করে প্রণাম করল রজত। শত শত মানুষের ভিড়। তিথি বলল, “বিশ্বাস করলে শান্তি। অবিশ্বাসে লড়াইটা নিজের মধ্যে নিজের।” রজত কিছু বলল না। ভিড় ঠেলে বেরিয়ে এল বাইরে। তিথি রজতের হাত ধরল। ছেলে-মেয়েকে রেখে এসেছে বাড়িতে। অনেকদিন পর নিজেকে যেন অন্যভাবে আবিষ্কার করল।

বলল, “কোথাও যাবে?”

তিথি বলল, “হ্যাঁ, তোমাকে এক জায়গায় নিয়ে যাব।”

রজত জিজ্ঞেস করে, “কোথায়?”

তিথি উত্তর করল না, একটু মুচকি  হাসল শুধু।

রজতের হাত ধরে তিথি হাজির হল পাশের মন্দিরে। বহু নারী-পুরুষ সেখানে বসে। তারের জাল দেওয়া ঘরে কালী মূর্তি। পাশে একটি যুপকাষ্ঠ । চাতালের উপর দণ্ডি খেটে শুয়ে আছে এক নারী। গেরুয়া বসন, মাথার কোঁকড়ানো ঝাঁকড়া চুলে জটা। বাহ্যজ্ঞান শূন্য হয়ে নিষ্প্রাণ পদার্থের মতো পড়ে। সকলে হাত জোড় করে বসে, নীরব। তিথি ইশারায় রজতকে বসতে বলল। এমন সময় পাশের মন্দিরে ঝাঁঝ-শাঁখ বেজে ওঠে। ঢাকি  তৈরি ছিল। বাজনার শব্দে সেই  নারী  জটাময় কেশরাশি দুলিয়ে উঠে বসল। কেউ একজন ধ্বনি  দিল, “দেবী  মা কি!” সকলে জয়ধ্বনি দেয়। রক্তবর্ণ চক্ষু, কপালে সিঁদুর। সেই নারীকে সবাই প্রণাম করল। তিথিও হাত জোড় করে নত হল। তারপর রজতের দিকে মুখ বাড়িয়ে ফিস ফিস করে বলল,

“চিনতে পারছ?”

রজত বলল, “আমি কী করে চিনব?”

“ভাল করে দেখ। এই দেবী মা তোমার চেনা।”

মুখটি একটু চেনা লাগছে বটে রজতের, কিন্তু ঠিক ঠাওর করতে পারে না।

দেবী মা এত ক্ষণে মুখ খুলল। “মা! মাগো! সকলের ভাল কর মা।” কী কর্কশ কণ্ঠ! ভ্রু কুঁচকে যায় রজতের। এক মহিলা পাশ থেকে  বলল, “এবার কার কী জিজ্ঞাসা আছে একে একে এগিয়ে আসেন।” সামনের সারিতে যারা ছিল দেবী মায়ের কাছে সমস্যার কথা জানাতে থাকল। কাওকে বলছে, “ভাল হয়ে যাবে, যা!” কখনও জোরে ধমক, “অনাচার করেছিস? সমঝে না চললে মা কী করবে? বাড়িতে দক্ষিণা কালীর পূজা দে।” এবারে তিথির পালা। এগিয়ে গেল সে। কী কথা হল শুনতে পেল না রজত। দেবী মা রজতের দিকে চোখ তুলে চাইল। অপলক তাকিয়ে হেসে ফেলল। এই হাসি রজতের খুব চেনা। তিথি মুখ বাড়িয়ে বলল, “ঠাকুর মশায়ের মেয়ে, গোলাপি গো।” রজত  কী বলবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না। পরের জন তাড়া দিচ্ছে। তিথি উঠে আসতে গোলাপি মাথা ঘুরিয়ে বলল,

“তোমার ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। আমি গণ্ডি দিয়ে রেখেছি। পাকিস্তান-চিন কেউ না।”

 রজত উঠে পড়েছিল। অস্বস্তি হচ্ছিল তার। সবাই ফিরে ফিরে দেখছে। যতটা সম্ভব দ্রুত বেরিয়ে আসে মন্দির থেকে। একাই হাঁটতে শুরু করে। তিথি চিৎকার করছিল পিছন থেকে,

 “কোথায় যাচ্ছ? দাঁড়াবে তো!”

 রজতকে যেন তাড়া করেছে কে। রাস্তা পার হয়ে  দ্রুত পায়ে হাঁটতে শুরু করল সে। তিথি হাঁপাতে হাঁপাতে পিছনে হাঁটে।

 “কি গো, ছুটছো কেন? অত জোরে আমি হাঁটতে পারি!”

রজত কোনও জবাব দিল না। মন্দির থেকে বেশ খানিকটা দূরে পান-সিগারেটের দোকান। একটা সিগারেট ধরিয়ে লম্বা শ্বাস ছাড়ল।  তিথি বলে, “আমি কয়েকটা হার-দুল কিনব ভাবলাম, তুমি চলে এলে?” রজত একটু রাগত স্বরে জবাব দিল, “ও সব অন্যত্রও পাওয়া যায়। চলো এখন।” হাঁটা শুরু করল সে। তিথি পা মেলাতে হিমসিম খায়। কিছু ক্ষণ চুপচাপ দু’জনেই। বার কয়েক রজতের মুখের দিকে তাকিয়ে নিল তিথি। কী যেন পড়ার চেষ্টা করল।

 “এখন ওই পূজারির সঙ্গে থাকে। বিয়ে হয়েছিল যার সঙ্গে তার ঘর করেনি। আগের বিয়ের একটা মেয়ে। কার্শিয়ং-এ স্কুলে পড়ে।”

 এক দমে কথাগুলি বলে কিছুটা শান্তি পায় যেন তিথি।  রজত কোনও আগ্রহ দেখায় না।

 “চরিত্র ভাল না। তবে দেব-দেবী ভর করে যাদের, তাদের কি আর চরিত্র দেখলে চলে?”  অস্বস্তি লুকোতে পারে না রজত। তিথি  কী চায়? ধমকে ওঠে, “তুমি থামবে? কে শুনতে চাইছে এসব?” তিথি চুপ হয়ে যায়। একটা রিকশা  ডেকে চেপে বসল দু’জনে। “স্টেশন।”

তিথি বলল, “তুমি রেগে যাচ্ছ কেন? কী হয়েছে?” রজত আর ধৈর্য  রাখতে পারে না।

“কেন নিয়ে যাও আমাকে এই সমস্ত জায়গায়? কোথাকার কোন ঠাকুরের মেয়ে!”

 তিথি বলে, “ও রম ব’ল না। আমি একেবারে কিছু জানি না তা তো নয়।” রজত চমকে তাকায়।

 “কী জানো তুমি?”

 তিথি ওর চোখে চোখ রেখে  সশব্দে হেসে ওঠে। মুখে হাত চেপে আড়চোখে তাকিয়ে বলল, “কিচ্ছু না!” তারপর অবিরাম হাসি। যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়িনীর হাসি যেন। পরাজিত সৈনিকের মতো মাথা নিচু রজতের। রিকশা এগিয়ে চলল স্টেশনের দিকে।

কাটা ঘুড়ি ছোট গল্প – সমাপ্তি

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!