কোলকাতা ট্রামগাড়ি’র শেষ কাহন কবিতা – রাজীব ঘোষ
ফিরহাদ সাহেব জনতার মাঝে এসে
স্বভাবসিদ্ধ অনাবিল দেঁতো হেসে
বিকার বিহীন বলিলেন অবশেষে
ট্রামের গাড়ি ইতিহাসে যাবে মিশে!
সেই ট্রামগাড়ি কোলকাতা যার দেশ
সেই ট্রামগাড়ি বাঙালির মনে মিলে মিশে একশেষ
সেই ট্রামগাড়ি স্মৃতির পাতায় কত না প্রেমের রেশ
সেই ট্রামগাড়ি হবে কি নিরুদ্দেশ??
টিং টিং টিং আওয়াজ উঠেছে ঢের
কোলকাতা পথে চলতে চলতে ঠিক পেয়ে যাবে টের
আঁকা বাঁকা পথে হেলিয়া দুলিয়া আসিতেছে পিছে ফের
মন কেমনের সেই টিং টিং থেকে যাবে তার জের |
কালিঘাট থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি
গড়িয়াহাটের যত ভাব আড়ি
যদি নাই থাকে সাত তাড়াতাড়ি
ঘেঁষাঘেঁষি বসে পথ দেবে দোঁহে পাড়ি!
শ্যামবাজারের সেই ট্রামডিপো
বাজারের শেষে ঠিক তাতে চেপো
হেঁদো পার্ক ছেড়ে কলেজস্ট্রীট মুখো
ঠনঠনে এলে মা’র মুখ দেখো!
রাজাবাজারের ওই ট্রাম গাড়ি
শিয়ালদা হয়ে পার্কস্ট্রীটে পাড়ি
পার্কসার্কাস পৌঁছাতে পারি
বাসের ধকল কবেই দিয়েছি ছাড়ি!
ধর্মতলার মোড় ইঁদুরের আস্তানা
অফিস কি ব্যাবসার কত লোক আনাগোণা
একসাথে ছুটোছুটি নাই থাক চেনা শোনা
ট্রামের জন্যে ছুট সবারই তা আছে জানা!
খাঁকি প্যান্ট খাঁকি জামা কারো দাদা কাকা মামা
টিকিটের ঠিকাদার নয়তো সে ড্রাইভার
ট্রাম গাড়ি নিয়ে ছোটে লাইনে |
কোন টা বা টালিগঞ্জ কোন টা বা বেহালা
ময়দান বুক চিরে ছুটে চলা উ লা লা
সে মজার দিন ভুলে যাই নে |
মিঠে মিঠে হাওয়া বয় কানে কানে কথা কয়
তালে তালে নেচে নেচে তার চলা রয় বেঁচে
তার প্রেম কখনো হারাই নে |
বাঙালি জীবন জুড়ে জাপটি জড়ায়ে ধ’রে
কত স্মৃতি কত কথা বিরহ বিধুর ব্যথা
ভুলেও ভুলিতে আমি চাই নে |
কোলকাতা ট্রামগাড়ি দুজন দজনে ছাড়ি
কেমনে বাঁচিবে ভেবে পাই নে ।
কোলকাতা ট্রামগাড়ি’র শেষ কাহন কবিতা – সমাপ্ত
আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।
অন্যান্য
শ্রাবণ সন্ধ্যা
শাস্তি
তিতির কান্না