কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

লক্ষীমেয়ে

লক্ষীমেয়ে ছোটগল্প – সুতপা ঘোষ

লক্ষীমন্ত মেয়ে বলতে যা বোঝায়, রিঙ্কি কোনোকালেই তার ধারকাছ দিয়ে যায় না। সেই ছোটটি থেকেই ছনছনে স্বভাব, বেয়াড়া চালচলন , আর একগুঁয়েমি আচরণের জন্য কম ঠ্যাঙানি খেয়েছে নাকি! একে তো মাথায় কিস্যুটি নেই, গোবরও শুকিয়ে ঘুঁটে হয়ে গেছে ; তা সেই ঘুঁটে পোড়া বুদ্ধি খাটিয়েই কম জ্বালিয়েছে বাপ মাকে! কম বেইজ্জতি সামলাতে হয়েছে ওঁদের এই বেয়াদপ মেয়ের জন্য!

বাবা, মা দুজনেই  চাকরি করতেন। ছোট্ট রিঙ্কি কে রেখে যেতে হত দিনরাতের কাজের মাসি চম্পার জিম্মায়। তা এই চম্পা মাসির আবার রিঙ্কির উপর ছিল ভারি দরদ। দু চারদিন ছাড়া ছাড়াই বোনঝির সাথে দেখা করার অছিলায় চম্পা মাসি যেত খালপাড়ের বস্তিতে। ছোট্ট রিঙ্কিকে বাড়িতে একা রেখে যায় কি বলে! ওকেও পোঁটলা করে সাথে নিয়ে নিত সে সময়। দাদাবাবু, বৌদি বেরিয়ে গেলে মেয়েটাকে নাইয়ে, দুটো খাইয়ে চম্পা ছুটত খালপাড়ের রাস্তায়। সেখেনে বোনঝি যে থাকত এ কথা মিথ্যে নয়, তবে তার চেয়ে বড় সত্যি হল যে ঐ বস্তিতেই বোনঝির দু চার ঘর পরেই থাকত চম্পা মাসির নাগর। রিঙ্কিকে বোনঝির গ্যাঁড়াগুগলি গুলোর মধ্যে ভিড়িয়ে দিয়ে চম্পাকলি চলে যেত পাশের ঘরে, পাপড়ি মেলতে।

আদর আর আশকারা দিয়ে একটা আড়াই বছরের মেয়েকে কব্জায় আনা চম্পার মত হুনিয়ারি মহিলার কাছে নস্যি। তার উপর মাঝেমধ্যে  হাতে চকোলেট গুঁজে দিলে তো আরো পোয়াবারো। ছোট্ট রিঙ্কি বরাবরই ‘চমাছি’র খুব ন্যাওটা। তার উপর দুপুর বেলা চুপিচুপি এই বেড়ুবেড়ুটা রিঙ্কির কাছেও খুব মজার। কত বন্ধু ওখানে! কত নতুন নতুন, মজার মজার খেলা! যদিও বাবাকে, মাকে এই বেড়ুবেড়ুর গল্প রিঙ্কি কক্ষনো বলে না। কেন বলবে! ‘চমাছি’ আড়ি করে দেবে না!

সেবার রিঙ্কির মামাদাদু এলেন ওদের বাড়িতে। রিঙ্কি তখন একটু বড় হয়েছে, স্কুলে যায়। সন্ধেবেলা সামনের ঘরে গানের আসর বসেছে। পাশের বাড়ির মিতা কাকিমার হারমোনিয়ামটা আনা হয়েছে। সবার গান গাওয়া দেখে রিঙ্কিরও ইচ্ছে হল, সেও গান গাইবে হারমোনিয়াম বাজিয়ে, নিজে নিজে। ঘরোয়া আসর, বাচ্চার আবদার।

হারমোনিয়ামের সামনে নিলডাউন হয়ে বসে রিঙ্কি বেলো টানছে, আর নিজের খুশিমত রিড টিপে যাচ্ছে এদিক থেকে ওদিক। তার সঙ্গে গলা ছেড়ে তারস্বরে গান। কি গান! এমন গান তো এখানে কেউ শোনেনি কোনদিন! শুনবে কি করে! কেউ কি আর রিঙ্কির মত কখনো খালপাড়ের বস্তিতে গেছে নাকি! ওখানে ঝগড়া হলে, সবাই এইরকম সুর করে করে গালি দেয় তো! ‘চমাছি’ ছাড়া কেউ জানেনা।

এ’তো গেল একেবারেই ছোটবেলার গল্প। বড় হয়েও একের পর এক কাণ্ডে মেয়ে নাস্তনাবুদ করে ছেড়েছে সকলকে। পাড়ার যত বখাটে ছেলের সঙ্গেই রিঙ্কির ভাব । ক্লাস সেভেন, এইট থেকেই আজ এ’র বাইকের পিছনে, তো কাল ও’র সাইকেলের ক্যারিয়ারে মেয়েকে দেখা যাচ্ছে নদীর ধারে, গলির মুখে।

সেবারে বিশ্ববখাটে মস্তান দত্তদের ছোটছেলেটার সাথে একা একাই চলে গেল সোনারপুর থেকে কলকাতায়। বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে পড়বি তো পড় একেবারে ছোটমামার মুখোমুখি। মামা বললেন, ” কি রে রিঙ্কি? কার সাথে এসেছিস? দিদি জামাইবাবু কোথায়? “

 “কে রিঙ্কি! আপনি ভুল করছেন। ” বেবুক মামাকে ঝাঁঝ দেখিয়ে টুকুস করে হারিয়ে গেল ভাগ্নি ভিড়ের মধ্যে।

বাপমায়ের কানে মেয়ের কীর্তিকলাপ পৌঁছল রাত না পোহাতেই। এদিকে পড়াশোনা’তেও মোটে মন নেই। সিক্স থেকে প্রতি ক্লাসে দু’বছর করে পড়া ঝালিয়ে ঝালিয়ে নাইনে এটাই প্রথম বছর।  এ’হেন অবস্থায় দূরসম্পর্কের এক ভাসুর’পো র সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে এল মেজপিসি।

সবাই ভেবেছিল, মেয়ে বুঝি বিয়ের নামে বেগড়বাই কিছু করবে। ওমা! কোথায় কি! দিব্য কনেটি সেজে, পানপাতায় মুখ ঢেকে বিয়ের পিঁড়িতে গিয়ে বসল সে সুবোধ বালিকার মত। পরদিন,  শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার লগ্নে তো  সবাইকে টা টা করে এমন নাচতে নাচতে বরের হাত ধরে গাড়িতে গিয়ে উঠল, যে কান্না ভুলে মা কাকির দল ফিক করে হেসে ফেলল মুখে আঁচল চাপা দিয়ে।

যত্র তত্র উড়ে বেড়ানো বুনোপাখিটাকে সোনার শিকলের চাকচিক্য দেখিয়ে ভোলানো গেল বেশ সহজেই। ডানা ঝাপটানো বন্ধ করে সুড়সুড় করে গিয়ে ঢুকল পরিপাটি খাঁচার ভিতর। খাঁচাটিও যে জম্পেশ, এ কথা স্বীকার করতেই হয়। দানাপানির অভাব তো নেই ই, তার উপর শ্বশুরবাড়ির মাত্রাতিরিক্ত আদরে, সোহাগে বনের টিয়া এখন ঘরের তোতাপাখিটি।

ভালো ঘরে, ভালো বরে মেয়েকে দিতে পেরে রিঙ্কির বাবা মা’র মনেও এখন নিশ্চিন্তি। সারাক্ষন কাঁটা হয়ে থাকতে হত আগে কি কাণ্ড ঘটিয়ে বসে মেয়েটা! সারাদিন ঘরে একা থাকে, আবার বলা নেই কয়া নেই ধেই ধেই করে যার তার সঙ্গে যেখানে সেখানে নেচে বেড়াচ্ছে! ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন, নইলে অমন মেয়ের অত ভালো বিয়ে হয়!

শাশুড়িমা তো রিঙ্কিকে চোখে হারান। ওনার আশকারা তেই বিয়ের পরেও মেয়েটা শোধরালো না এতটুকু। সেই অনর্গল কথা! আর কথার মাঝে খিলখিল করে হেসে গড়িয়ে পড়া!  “রিঙ্কি এখন ওর গোমড়ামুখো শ্বশুরকেও রোজ হাসাচ্ছে, নাচাচ্ছে ; এবার বাড়ির দরজা, জানলার মুখেও বোল ফোটাবে দেখ “,শাশুড়িমায়ের মুখে একগাল প্রশ্রয়। সরল, সাদাসিধে, প্রাণোচ্ছল মিশুকে বউটাকে ভালোবাসে সবাই।

সেই রিঙ্কিই হঠাৎ কেমন যেন পাল্টে গেছে ইদানিং। আগের মত কলকল করে কথা কয়না, মুখে হাসি নেই। কি হল মেয়েটার! খাওয়া দাওয়াও করছে না ঠিক করে, শুকিয়ে যাচ্ছে দিনদিন। তবে কি!

রিপোর্ট পজিটিভ। খুশি আর বাঁধ মানে না হবু বাবার। একান্তে বৌ’কে পেয়ে সবটুকু খুশি উজাড় করে দিল সুমন রিঙ্কির শুকনো ঠোঁটে। রাতের বেলা পাশাপাশি শুয়ে রিঙ্কির আঙ্গুলগুলো নিয়ে খেলা করতে করতে সুমন হাসছে।”কাল ছিল ডাল খালি, আজ ফুলে যায় ভরে ; বল দেখি তুই মালী হয় সে কেমন করে?”, পাশ ফিরল সুমন, “কি করে হল বলোতো ‘রিনরিন’,  হিসেবে  কিছু ভুল হল নাকি?”

কেঁপে উঠল রিঙ্কির বুক। ভুলই তো, ভয়ঙ্কর রকমের ভুল। কি করে বলবে  এ কথা মুখ ফুটে সুমনকে! যদি বলে! কি হবে তখন! সাজানো সংসার তো ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়বে তাসের ঘরের মত! না, না রিঙ্কি পারবে না। কিছুতেই পারবে না।

সেদিন বাড়িতে কেউ ছিল না। মামাতো দেওর বাবুয়া হঠাৎ এসে হাজির। বলল, “খুব খিদে পেয়েছে বৌদি, খাওয়াতে পারো কিছু?” দুজনে একসাথে খেল, অনেক গল্প হল ডাইনিং টেবিলে বসে । তারপর বাবুয়া খেলা দেখতে লাগল ড্রয়িং রুমে। রিঙ্কি চলে এল উপরে, নিজের বেডরুমে। তারপর আর ভাবতে চায় না রিঙ্কি। ভুলে যেতে চায় এর পরের সময়টা। পারল না নিজেকে রক্ষা করতে। নিজের বাড়িতে, নিজের লোকের কাছে! 

রিঙ্কি পারল না। অনেক বার, অনেক রকম ভাবে চেষ্টা করেও কিছুতেই পারল না নিজের চূড়ান্ত সর্বনাশের কথা সুমনের কাছে খুলে বলতে। প্রগলভ রিঙ্কি জীবনে এই প্রথম কুলুপ আঁটলো মুখে, সয়ে নিল সব অবিচার।

পারল কি সইতে ! পারল না তো। কথা হারিয়ে গেল, হাসি মিলিয়ে গেল। ডাক্তার বললেন, এ সময় অনেক মেয়ের আচরণেই এমন সাইকোলজিক্যাল চেঞ্জ দেখা যায়। ডেলিভারি হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

অতদিন আর অপেক্ষা করতে হল না। তিনমাসের মাথায় শুকনো সিঁড়িতে আছাড় খেয়ে শুরুতেই সব শেষ।

সকলের মন খারাপ। বাড়িটা সারাদিন থমথম করে।এ বাড়ি তে খুশি আসি, আসি করেও মুখ ঘুরিয়ে চলে গেছে দোরগোড়া থেকে।

কাছের মানুষজন, যাঁরা অনাগত সুসংবাদ এবং আগত দুঃসংবাদের খবর পেয়েছেন, অযাচিতভাবে এসে রিঙ্কি’কে যে যাঁর মত করে সমবেদনা, সুপরামর্শ দিয়ে গেছেন। সবারই মোটের উপর এক কথা, “মন খারাপ কোরো না, সাবধানে থাকো, সুদিন আবার আসবে।” বাড়ি ফিরে এঁরাই নিজেদের মধ্যে ফোনালাপে আলোচনা করতে ছাড়েননা , “কি জানি বাপু, এত বড় একটা ক্ষতি হয়ে গেল, বৌটার চোখেমুখে শোকতাপের কোন ছাপ নেই মোটে!”

রিঙ্কির শাশুড়ির কানেও এ আভাস আসে। তাছাড়া উনি তো আর অন্ধ নন, নিজের চোখেই দেখছেন দিনরাত বৌমার ওঠাবসা। সেদিন সন্ধ্যেবেলায় রিঙ্কির ঘর থেকে ভেসে এল গানের সুর, রেওয়াজে বসেছে সদ্য সন্তানহারা মা। টিভিতে খবর শুনতে শুনতে শ্বশুরমশাই মন্তব্য করলেন, “মেয়েটা সত্যিই বড় নির্বোধ!” শাশুড়ি আর চুপ করে সইতে পারলেন না। দুদ্দাড় করে সিঁড়ি ভেঙে এসে দরজা ঠেলে ঢুকলেন রিঙ্কির ঘরে, “এই কি গান গাওয়ার সময়! “

সময় পেরিয়ে গেছে দেখতে দেখতে দশ দশটা বছর। প্রথম অস্বাদিত মাতৃত্বের অহেতুক জটিলতা, ডাক্তারের অপরিণামদর্শিতার ফলস্বরূপ রিঙ্কির কোল খালি রয়ে গেছে চিরকালের জন্য। 

বাবা মাকে নিয়ে সুমন গেছে মামাবাড়ি। শরীর খারাপের ছুতো দিয়ে এড়িয়ে গেছে রিঙ্কি। “হিংসে! বুঝিনা কিছু!”  শাশুড়ি মায়ের মন্তব্য আর গায়ে মাখে না আজকাল। ফাঁকা বাড়িতে মাঝেমধ্যে একা থাকতে মন্দ লাগেনা। প্রতিদিনের অভ্যস্ত জীবন থেকে খানিক অন্যভাবে নিজেকে খুঁজে নেয়া যায় এমন এক একটা হঠাৎ পাওয়া দিনে। সকলের তালে তাল না মিলিয়ে বেশ আপন ছন্দে নিজের সঙ্গে দিব্য কাটিয়ে দেয়া যায় একটা ইচ্ছেখুশির দিন। আজকের দিনটাও এমনই এক পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা। কিন্তু কিছুতেই মনোবীনায় বাঁধা যাচ্ছে না তার। বারে বারে হারিয়ে যাচ্ছে ছন্দ , মিল খাচ্ছে না সুরে-তালে।

বাবুয়া চাকরি সূত্রে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল বছর দশেক আগে। হ্যাঁ, সেই ঘটনার পরপরই। পালিয়ে গিয়ে ভিনদেশে গড়ে তুলল ঝাঁ চকচকে কেরিয়ার, সেটলড হল, বিয়ে করল ওখানেই , মেয়ের বাবাও হয়েছে সাত মাস হল। আজ সেই মেয়ের  অন্নপ্রাশন। সেই উপলক্ষেই দেশে ফেরা এতকাল বাদে। ভাইপোকে নিয়ে পিসি, মানে রিঙ্কির শাশুড়ির গর্বের শেষ নেই।  দীর্ঘ আটান্ন বছর বাদে কন্যাসন্তান এসেছে ওঁর পিতৃকুলে, এক প্রজন্ম ডিঙি দিয়ে। এ আহ্লাদ কি ধরে রাখা যায়!

নিজের ঘরে তো প্রদীপ জ্বলল না, বাপের ঘরের সোনার চাঁদকে নিয়েই যতটা সোহাগ করা যায়।

ফিরে এসেছে ওরা ঘন্টাখানেক হল। যতটা খুশি নিয়ে গিয়েছিল পিসিঠাম্মি, নাতনির মুখ দেখে ফেরার পর ততটা আনন্দ আর ঝলকাচ্ছে না চোখেমুখে । হয়তো সারাদিনের ক্লান্তি। দরজা বন্ধ ঘরে মুখোমুখি স্বামী স্ত্রী। বাড়ি ভর্তি লোকের ভিতর থেকে একফাঁকে সুমনকে ছাদে ডেকে নিয়েছিল বাবুয়া। বলেছে অনেক ‘না জানা কথা ‘। ‘কি কথা ?’,  ছাঁৎ করে ওঠে রিঙ্কির বুক।

বহু চিকিৎসার পরও সব ডাক্তারই নিশ্চিত করেন যে, বাবা হওয়ার শারীরিক ক্ষমতা ওর নেই,

স্বাভাবিক নিয়মে কোনদিন বাবা হতে পারবে না বাবুয়া। দিনদিন হতাশার অন্ধকারে ডুবে যেতে থাকে স্বামী-স্ত্রী দুজন। আর সেই সময়তেই অনাথ আশ্রম থেকে একটি দশদিনের বাচ্চাকে ঘরে নিয়ে আসে ওরা । সেই মেয়েই আজ ওদের চোখের মণি, নাইবা হল আত্মজা।

রিঙ্কির শীর্ণ হাতদুটো নিজের শক্ত মুঠিতে চেপে ধরে সুমন, ” আমরাও পারিনা রিনরিন? “

চমকে ওঠে রিঙ্কি। সেদিন কি তবে? কে আসছিল ওর কোলে ? কার চলে যাওয়ায় বুক থেকে পাথর নেমেছিল সেদিন? থরথর করে কেঁপে ওঠে শরীর। স্বামীর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই প্রথমবার অনাগত সন্তানের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়ে রিঙ্কি। দশ দশটা বছর আটকে রাখা শোক বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে দেয় দু দুটো বুভুক্ষু হৃদয় । আবাহনী সুরের সঙ্গে মিলে যায় বিসর্জনের ঢাকের বাজনা।

লক্ষীমেয়ে ছোটগল্প – সমাপ্ত

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!