কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » প্রবন্ধ » আধ্যাত্মিকতা ও স্বাধীনতা

আধ্যাত্মিকতা ও স্বাধীনতা

আধ্যাত্মিকতা ও স্বাধীনতা – অনিন্দিতা কামিল্যা

স্বাধীনতা এমন একটি আবেগপ্রবণ শব্দ যার শক্তি নিহিত রয়েছে ‘বহুত্বে একত্ব’ রূপ মানব বিজ্ঞানের মধ্যে। মানুষের জীবনশৈলী বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু হল আধ্যাত্মিকতা এবং
বিজ্ঞান চেতনা হল পরিধি। বর্তমানের বিজ্ঞান নির্ভর প্রগতিশীল চক্রের গতিবেগ এত বেশি যে মানুষ ক্লান্ত, দিকভ্রান্ত হয়ে কেন্দ্রবিন্দু থেকে বহুদূরে চলে এসেছে যার ফলস্বরূপ জীবনে এসেছে অস্হিরতা,স্বার্থপরতা, হিংসা, অসহিষ্ণুতা,যুদ্ধবিগ্রহ, পরাধীনতার মায়াজাল।

স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরেও আমরা ‘স্বাধীনচেতা’ মানুষ লিঙ্গ-জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে স্বাধীন হবার প্রার্থনা রাখি, স্বাধীনতাকে কামনা করি!!! কেন? এই প্রশ্নের উত্তর অন্বেষণ করতে শুরু করলেই আপনার সমস্ত ভাবাবেগ গিয়ে জড় হবে নৈতিক শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতায়।একটু মন দিয়ে ভেবে দেখুন তো এই ইঁদুর-দৌড়ীয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্হায় নৈতিক শিক্ষার পঠন , ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং অধ্যাত্মচর্চা ঠিক কতখানি। সামাজিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রনৈতিক আদর্শে যদি গুণগতমানের নৈতিক মূল্যবোধ এবং আধ্যাত্মিকতার কমতি হয়, তাহলে সেই সমাজে, রাষ্ট্রে নিম্নতর মানসিকতার মানুষের বৃদ্ধি ঘটে;যার ফলস্বরূপ ঘটে নানান বিকৃত মানসিকতার ঘটনা।

ভারতীয় সংবিধান কিন্তু সর্বগুণসম্পন্ন স্বাধীনতার আদর্শে পুষ্ট। ভারতবর্ষের বেদান্তবিদ্যার স্বতান্ত্রিকতা ও ঔপনিষদিক ঐতিহ্যর কাছে সমগ্র বিশ্ব কৃতজ্ঞ।অথচ আমরা মূর্খ ভারতবাসী আধুনিকতার অট্টহাসির মায়ায় ভুলতে বসেছি আত্মজ্ঞানী হবার জীবন্ত দর্শন,সৎ ও সৃজনীশক্তির শাশ্বত উৎস ,সব দুঃখ-কষ্ট-পরাধীনতার ঊর্দ্ধে অতীন্দ্রিয় অন্তঃপ্রকৃতির বিজ্ঞান ও বহিঃপ্রকৃতি বিজ্ঞানের সমন্বয় রূপ, স্বাধীন হবার মূলমন্ত্র, শ্রুতির সার উপনিষদকে।”অয়ম্ আত্মা ব্রহ্ম”।।

আধ্যাত্মিকতা ও স্বাধীনতা – সমাপ্তি

যে কেউ তাদের লেখা জমা দিতে চান। অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা জমা দিন পৃষ্ঠায় জমা দিন এবং যারা লেখা জমা দিচ্ছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!