কলম পাতুরি

ভাবনা আপনার প্রকাশ করবো আমরা

Home » ভৌতিক গল্প » যামিনীর প্রতিশোধ

যামিনীর প্রতিশোধ

যামিনীর প্রতিশোধ ভৌতিক গল্প – মিঠুন মুখার্জী

অনেক বছর আগের ঘটনা। আজও বলতে গেলে সারাশরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে। আমার বন্ধু মানবেন্দ্র মল্লিক তখন বিহারের এক অত্যন্ত গ্রামের রেল স্টেশনে চাকরি করতেন। শহর থেকে এত ভিতরে ছিল এই স্টেশন যে, চাকরি করতে গিয়ে কারোরই ভালো লাগবে না। স্টেশন একটা ফাঁকা মাঠের মধ্যে। আশেপাশে তেমন জনবসতি নেই। কিছুটা দূরে দুই-তিনটি কৃষকের বাড়ি। মানবেন্দ্র আসার আগে যারা যারা এখানে চাকরিসূত্রে এসেছিলেন তাদের কেউ বেশিদিন থাকতে পারেননি। কেউ ভয়তে বদলি নিয়ে চলে গেছেন, নয়তো চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। পাটনা থেকে সত্তর কিলোমিটার ভেতরে এটি একটি গণ্ডগ্রাম। একসময় এই অঞ্চলে প্রচুর জনবসতি ছিল। কিন্তু অনাবৃষ্টি ও ভূমিকম্পের ফলে আজ আর তেমন কিছুই নেই। দিনের বেলাতেই এই স্টেশনে যাত্রীরা আসতে ভয় পেতেন। মাত্র তিনজন স্টাফ মিলে এই স্টেশনটা চালাতেন। মানবেন্দ্র ছাড়া বাকি দুজন সাইকেল নিয়ে দশ কিলোমিটার দূর থেকে আসতেন এবং কাজ শেষে চলেও যেতেন। প্রতিদিন রাত্রে স্টেশনে একাই থাকতেন মানবেন্দ্র মল্লিক। তাছাড়া একজন বয়স্ক বিহারী পাহারাদার ছিলেন। সব ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়াত না। সারাদিন- রাতে মাত্র দশটি ট্রেন এই জঙ্গলডাঙ্গা স্টেশনে দাঁড়াত। সন্ধ্যা ছটার পর আর কোনো ট্রেন এই রুটে যেত না। পুরোপুরি নির্জন পরিবেশ। কয়েকটি লাইট প্ল্যাটফর্মে জ্বললেও যাত্রীর বড়ই অভাব। মানবেন্দ্র আসার কুড়ি বছর আগে এই প্লাটফর্মে একটি সদ্য বিবাহিত রমণীর উপর শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল।স্বামীটিকেও মেয়েটির সামনে গুলি করা হয়েছিল। তারপর থেকে ওই মেয়েটির আত্মা এই স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। যারাই এখানে চাকরি-সুত্রে এসেছেন তারা বেশিদিন থাকতে পারেননি। ভয়তে মারাও গিয়েছেন কয়েকজন। মেয়েটির নাম ছিল যামিনী। অজয় যাদব নামক একজন সব্জি ব্যবসায়ীর সঙ্গে যামিনীর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ে করে কয়েকজন বরযাত্রী নিয়ে ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার জন্য সেই জঙ্গলডাঙ্গা স্টেশনে তারা এসেছিল। কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাদের বচসা বেঁধেছিল। কারণ, একটি যুবক কনেকে দেখে শিষ মেরেছিল ও উল্টো-পাল্টা কথা বলেছিল। অজয় যাদবরা বুঝতে পারেননি তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে। এক কথায় দু কথায় বচোসা জোড়ালো হয়ে যায়। হাতাহাতি শুরু হয় উভয় দলের মধ্যে। হঠাৎ করে দুজন যুবক বন্দুক বার করে অজয় যাদবের উপর গুলি করে। আরো দুই- একজন বরযাত্রীরও পায়ে গুলি লাগে। প্রাণভয়ে সকলে পালিয়ে যায়। এরপর ছয়জন যুবক যামিনীকে জোর করে স্টেশনের একটা ঘরে ধরে নিয়ে যায়। যামিনী চিৎকার করতে থাকে, কিন্তু আশেপাশে এমন কোন লোক ছিল না যে তাকে বাঁচাতে আসে। তাছাড়া স্টেশনটিও একেবারে নির্জন ছিল। একের পর এক নরপিশাচ যামিনীর কোমল শরীরটাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। সাক্ষী না রাখার জন্য শেষমেষ গলায় দড়ি দিয়ে কড়ি কাঠের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় তাকে। ছটফট করতে করতে প্রাণ বেরিয়ে যায় তার। অন্যদিকে প্ল্যাটফর্মের উপর মৃত অজয় যাদবের দেহ পরে থাকে। যারা সদ্য বর- কনেকে এভাবে হত্যা করেছিল, তারা সকলেই পাটনায় থাকতো। একটা গুরুত্বপূর্ন কাজে জঙ্গলডাঙ্গায় এসেছিল। প্রত্যেকের বয়স পঁচিশ থেকে ত্রিশের মধ্যে। পাটনার সম্ভ্রান্ত ঘরের এক একটি বকাটে সন্তান। যামিনী ও অজয়কে হত্যা করে সেই যে তারা পাটনায় ফিরে গিয়েছিল, আর কখনো জঙ্গলডাঙ্গায় আসে নি। অন্যদিকে যামিনীর আত্মা এই কুড়ি বছরে জঙ্গলডাঙ্গা স্টেশনে তাণ্ডবনৃত্য চালিয়েছে আর অপেক্ষায় থেকেছে সেই যুবকরা কবে জঙ্গলডাঙ্গাতে আবার আসবে। এই দীর্ঘ কুড়ি বছরে প্রায় প্রতিদিনই রাত নটার পড়ে জঙ্গল ডাঙ্গার প্ল্যাটফর্মের কাছাকাছি যামিনীর আত্মাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। তার কান্না ও পায়ের নূপুরের আওয়াজ শুনেছে অনেক মানুষ। তাকে দেখে কেউ জ্ঞান হারিয়েছে, আবার কেউ মারাও গেছে। মাঝে মাঝে অজয় যাদবের আত্মাকেও অনেকে দূর থেকে যামিনীর সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখেছে। আবার কেউ শুনেছে তারা দুজন কান্নার সহিত বলছে— “আমাদের সংসার করতে যারা দিল না, নিষ্ঠুরভাবে যারা আমাদের হত্যা করলো, তাদের আমরা ছাড়ব না। তাদের যতদিন না মারতে পারছি ততদিন এই স্টেশন ছেড়ে আমরা যাব না।” স্টেশনের একনম্বর প্লাটফর্মের পাশে থাকা বড় তেঁতুল গাছে পা ঝুলিয়ে তাদের দুজনকে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে অনেকবার। মানবেন্দ্র যখন চাকরিসূত্রে জঙ্গলডাঙ্গা স্টেশনে যান, তখন অনেকের কাছ থেকে অজয় যাদব ও যামিনীর গল্প শোনেন। তবে তেমন একটা গুরুত্ব দেননি তিনি। কারণ, মানবেন্দ্র মল্লিক মনে করতেন ভূত বলে কিছু নেই, সবই আমাদের মনের দুশ্চিন্তা। তাই তিনি রাতের বেলাও একা একা ঘর ছেড়ে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে হাওয়া খেতেন। একদিন রাত নটা নাগাদ মানবেন্দ্র খেয়েদেয়ে এসে একনম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পায়ের নূপুরের শব্দ শুনতে পেলেন তিনি। প্রথমটা মনের ভুল মনে হলেও, শব্দটি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সে কেউ আছে ভেবে খুঁজতে লাগলেন। স্টেশনের দুটি প্ল্যাটফর্মে ভালো করে খুঁজেও কাউকে দেখতে পান না তিনি। মনের মধ্যে না চাইতেও এবার ভয়ের উদয় হয়। কয়েক মিনিট পর দেখেন এক নম্বরের তেঁতুল গাছের উপর একটি মেয়ে সাদা কাপড় পড়ে বসে বসে পা দুলাচ্ছে। তার মুখটা কাপড় দিয়ে ঢাকা। মানবেন্দ্র প্রশ্ন করেন— “কে ওখানে এত রাতে? স্টেশনে কি চাই?” এই কথাগুলো বলতে গিয়ে শীতের রাত্রে মানবেন্দ্রর সমস্ত শরীর ঘেমে গিয়েছিল। কথা বলার সময় কন্ঠ কেঁপে উঠেছিল তার। ঘর থেকে টর্চ এনে তেঁতুল গাছের দিকে মারতেই যামিনী অদৃশ্য হয়ে যায়। এই প্রথম ভূত দেখেন মানবেন্দ্র। আর বিলম্ব না করে চিৎকার করে পাহারাদারকে ডাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পাহাড়াদার বৃদ্ধটি এসে তাকে জিজ্ঞাসা করেন— ‘বাবু আমাকে ডাকছে নাকি?’ মানবেন্দ্র বলেন— “কোথায় ছিলেন এতক্ষণ? কালকে এই তেঁতুল গাছটা কাটার ব্যবস্থা করবেন। তেঁতুল গাছটি ভালো নয়।” মানবেন্দ্রের এই কথায় পাহারাদার বুঝতে পেরেছিলেন বাবু কেন তেঁতুল গাছটি কাটার কথা বলছেন। নিশ্চয়ই তিনি অশরীরী কোনো ভূত-প্রেতকে ওই গাছে বসে থাকতে দেখেছেন। সেদিন সারারাত মানবেন্দ্র ভালো করে ঘুমাতে পারেননি। মনের মধ্যে না চাইতেও একটা ভয় কাজ করছিল। পরদিন সকালে বিছানা থেকে উঠে একনম্বর প্লাটফর্মে গিয়ে ভালো করে তেঁতুল গাছটি পরখ করেন তিনি। দেখেন গাছটিতে অজস্র ভূতের আঁচর রয়েছে। সকাল দশটা নাগাদ পাহারাদার অতি কষ্টে লোক নিয়ে এসে তেঁতুল গাছটি কাটার ব্যবস্থা করেন। দুপুর তিনটের সময় তেতুল গাছটা কাটা সম্পূর্ণ হয়। একটা চারশো সাত গাড়ি করে গাছ তুলে নিয়ে যান ঠিকাদার। মানবেন্দ্র ভাবেন— “আস্তানা যখন নষ্ট করে দিয়েছি, তখন নিশ্চয় আর কোনো ভয় নেই। এই জায়গা ছেড়ে ভূতেরা অবশ্যই চলে যাবে।” কিন্তু হলো তার বিপরীত। এদিনও রাতের খাবার খেয়ে এক নাম্বার প্লাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছিলেন মানবেন্দ্র। তখন পুরো পরিবেশটা নির্জন। প্ল্যাটফর্মে একটাও লোক নেই। সে মনে করে, এই সমস্যা আমি সমাধান করতে পেরেছি। রাত দশটা নাগাদ ঘুমতে যান তিনি। ছোটো লাইট জ্বালিয়ে বিছানায় উঠতে যাবেন তিনি। হঠাৎ তার দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। মানবেন্দ্র মনে করেন এত রাত্রে কে আবার এলো! দরজা তিনি খোলেন নি। এভাবে তিন-চারবার দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হয়। এবার মানবেন্দ্র দরজার একটা ফুটে দিয়ে দেখেন, বাইরে দুজন সাদা কাপড় পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পিলে চমকে যায়। খাটের কাছে ফিরে এসে বড় লাইট জ্বালান। এবার দরজায় কড়া নাড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সাহস করে দরজাটা খুলে মানবেন্দ্র বাইরে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। ঘরে ফিরে আসতে যাবে হঠাৎ তার সামনে দুজনের ছায়া মূর্তিতে প্রত্যক্ষ করেন। অজয় যাদব ও যামিনীর আত্মা। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে মানবেন্দ্র ভয়তে কাঁপতে থাকেন। যামিনী বলে— “আমাদের আশ্রয়স্থল ওই তেঁতুল গাছটি তুই কেটে দিলি। তোর এত বড় সাহস। তোকে তোর ঘরে আমরা থাকতে দেবো না। এবার থেকে আমরা দুজন ঐ ঘরে থাকবো। তোকে বাঁচতে দেবো না।” এই বলে বিকট চিৎকার করে যামিনী ও অজয় যাদব। মানবেন্দ্র তাদের চিৎকারে মূর্ছা যান। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখেন তার একজন কলিগ তার মাথার কাছে বসে জলপট্টি দিচ্ছেন। অন্যজন কাছেই দাঁড়িয়ে আছেন। প্রচন্ড জ্বর এসেছে তার। কলিগ দুজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একদিনে তার জ্বর সেরে যায়। ওই দিন রাতে কলিগ দুজন তার সঙ্গে থেকে যাওয়ায় কোনরকম সমস্যা হয়নি। পরদিন সকালবেলা সেই ছয় জনকে জঙ্গলডাঙ্গা স্টেশনে দেখা যায়। কুড়ি বছর পর এখন যুবকরা সকলে প্রৌঢ়তে এসে পড়েছে। কারো কারো চুলে পাক ধরেছে। কুড়ি বছর আগে যে কাজের জন্য তারা জঙ্গলডাঙ্গা এসেছিল কুড়ি বছর পরে সেই একই কাজের জন্য সেখানে আসে। কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তারা জঙ্গলডাঙ্গা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়। একটুর জন্য লাস্ট ট্রেনটা তারা পায় না। খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় তারা। সারা রাতটা তারা কোথায় থাকবে এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সকলে মনস্থির করে এই স্টেশনের একটা পুরনো যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে তারা রাতটুকু কাটিয়ে দেবে। খাবার তাদের সঙ্গেই আছে। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে থাকার জন্য মানবেন্দ্রের সাথে তারা কথা বলে অনুমতি নিয়ে নেয়। রাত তখন দশটা। রুটি ও মদ খেয়ে সকলে ঘুমে ঢুলছে। এমন সময় একটা মেয়ের গান ভেসে আসে তাদের কানে। ছয়জনের মধ্যে দুজনের ঘুম ভেঙে যায়। তারা চোখ খুলে দেখে এক নম্বর প্লাটফর্মের শেষে একটি সুন্দরী মেয়ে পিছন ফিরে গান করছে। তাকে লক্ষ্য করে দুজন এগিয়ে যায়। কাছে যেতেই তার মাথাটি ঘুরে যায়। প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় তারা ও যামিনীকে দেখে চিনতে পারে। যামিনী গলায় ফাঁস দিয়ে দুজনকে হত্যা করে। মদের নেশায় মত্ত থাকা অন্য চারজনের কানে তাদের দুজনের চিৎকার পৌছায় না। অথচ তাদের চিৎকারে মানবেন্দ্রের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তিনি দরজার ফাঁক দিয়ে সমস্ত ঘটনাটা দেখে ভয়ে কাঁপছিলেন। যামিনীর চোখ দুটো লাল টকটকে, সারা গায়ে ও মুখে রক্ত মাখা। এরপর মানবেন্দ্র দেখেছিলেন নেশাসক্ত চারজনকে যামিনীর বীভৎসভাবে হত্যা করাকে। একজনের গলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল, দুজনকে ওভার ব্রিজের সঙ্গে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছিল, আর একজনকে ধারালো নখ দিয়ে বুক চিরে দিয়েছিল। তারপর তার রক্ত দিয়ে যামিনী চুল ধুয়েছিল ও রক্ত পান করেছিল। সবশেষে প্ল্যাটফর্মের উপর পাগলের মতো নৃত্য করেছিল। তার ভয়ঙ্কর রূপ দেখে মানবেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, পরদিনই সেখান থেকে তিনি চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন পরদিন সকালে মানবেন্দ্র জানতে পারেন, গতরাত্রের ঐ ছয়জন হল তারা, যারা যামিনী ও তার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। যার রক্ত দিয়ে যামিনী চুল ভিজিয়েছিল সে তার স্বামী অজয় যাদবকে গুলি করেছিল এবং যাদের ওভার ব্রিজের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তারা তাকে প্রথম জোর করে রেপ করে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরেছিল। মানবেন্দ্র আর এক মুহূর্ত সেখানে থাকতে চান নি। উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সত্বর বদলির কথা বলেন। বদলি না করলে তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। তিন দিনের মধ্যে মানবেন্দ্র বদলি হয়ে যায়। বাক্স- পেট্রা গুছিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় এক নম্বর প্লাটফর্মে যেখানে তেতুল গাছটি ছিল, সেখানে তাকিয়ে মানবেন্দ্র অনুভব করেন, যামিনী ও অজয় তার দিকে এক দৃষ্টি তাকিয়ে আছে আর বলছে— “সাধ মিটিলো নারে বাবু। এ জীবনে আমাদের সাধ মিটিল না।”

যামিনীর প্রতিশোধ ভৌতিক গল্প – সমাপ্ত

আপনাদের লেখা আমাদের ওয়েব সাইটে জমা দিতে গেলে, অনুগ্রহ করে আমাদের লেখা-জমা-দিন মেনু-তে ক্লিক করুন ও নিজেকে Author হিসেবে Register করুন এবং আমাদের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।

error: Content is protected !!